ফেনীর দাগনভূঞায় অনাবৃষ্টি, প্রচন্ড তাপদাহ হতে পরিত্রান পেতে বৃষ্টির বিশেষ প্রার্থনা (ইসতিসকার) নামাজ আদায় করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত দাগনভূঞা আতাতুর্ক সরকারি মডেল হাইস্কুল মাঠে শত শত ধর্মপ্রান মুসলমান প্রচন্ড রোদ আর তাপদাহ উপেক্ষা করে নামাজে শরীক হয়। এ সময় ছোট শিশুরাও নামাজে অংশগ্রহণ করে। বেশ কিছুদিন যাবৎ অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সব শ্রেণির মানুষ। দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারনে নষ্ট হচ্ছে আবাদি জমির ফসল আর সেই সাথে দিনমজুর সহ খেটে খাওয়া মানুষগুলো পড়েছে চরম বিপাকে।
প্রচন্ড তাপদাহ আর অসহ্য গরম থেকে বাচঁতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে দাগনভূঞা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উদ্যোগে মাঠের খোলা আকাশের নীচে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়।
নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচন্ড খরা থেকে পরিত্রাণ পেতে মহান আল্লাহ কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ধর্মপ্রান মুসলমানরা ক্ষমা চেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন দাগনভূঞা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ইমরান হোসেন ভূইয়া।
নামাজ ও মোনাজাতের পর দাগনভূঞা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ইমরান হোসেন ভূইয়া তার বক্তব্যে বলেন, ইসতিসকার নামাজের অর্থ হল, দুনিয়ায় যদি কোন বালা-মুসিবত হয় আসে, প্রচন্ড তাপদাহ, খরার কারনে ফসলাআদি নষ্ট হয়ে যায় মানুষের চলাচল দুর্র্বিষ জীবনযাপন করেন, তখন মাঠে গিয়ে খোলা আকাশের নিচে ইসতিকার নামাজ পড়তে হয়। এ বিষয় হাদিসের বর্ননা অনুযায়ী সর্বস্তরের মানুষের উদ্যোগে নামাজে অংশ নিয়েছি। আমরা সকলে আল্লাহর কাছে কৃতকর্মের মার্জনার জন্য মোনাজাত করেছি। আল্লাহ যেন রহমতের বৃষ্টি দিয়ে আমাদেরকে শান্তি এবং সবুজ জমিন যেন ফিরিয়ে দেন। সব বালা মুসিবত থেকে যেন আমাদেরকে হেফাজত করুন।
এসময় দাগনভূঞা ইসহাক, খায়ের রহমান শপিং কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে মুসল্লি ও পথচারিদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সেলাইন বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন দাগনভূঞায় পৌরসভার মেয়র ওমর ফারুক খান।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি