দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা নতুন মুখ শাহীন মুন্সি ভোটের মাঠে নেমেছেন। গত বুধবার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার পর থেকে তিনি বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করছেন।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীন মুন্সি বেকের বাজার জামে মসজিদে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আশু রোগ মুক্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেন। পরে মাতুভূঞার নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপির পক্ষ থেকে সবাইকে সালাম পৌঁছাচ্ছেন ও দোয়া কামনা করছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা শাহীন মুন্সির একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রবিউল হক রবি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দাগনভূঞা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৫ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৪ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রদত্ত সমর্থক ভোটার তালিকার নাম যাচাইয়ে সঠিকতা না পাওয়ায় দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতা, পূর্ব চন্দ্রপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন সোহেল, রাজাপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ভূঞার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এছাড়া দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিনও দল ও নেতাদের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। এতে আওয়ামী লীগ নেতা শাহীন মুন্সির একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রবিউল হক রবি।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা আক্তার শেফালী, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও দৈনিক সমসাময়িক প্রতিদিনের সম্পাদক রোকসানা আক্তার সিদ্দিকী, উপজেলা জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি ফারহানা নিগার সুলতানা, মহিলা লীগ কর্মী আনোয়ারা বেগমের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন। আর পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে ৩১ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দলীয় মনোয়ন প্রাপ্ত শাহীন মুন্সী সাংবাদিকদের বলেন, আমার নেতা ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের অভিভাবক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি আমাকে দল থেকে মনোনয়ন দিয়েছেন এর সম্মান রক্ষা করবো। আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে লালন করি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নীতি-আদর্শ বুকে ধারণ করে চলার চেষ্টা করি। ১৯৯৩ সালে আমি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দায়িত্বে ছিলাম, জীবিকার তাগিদে প্রবাসে চলে যাই। সৌদিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার জন্য কাজ করি। নিজেকে সফল ব্যাবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করি। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবো। তরুণ সমাজকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করে কর্মসংস্থানের জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।
সম্পাদনা : এএএম/এটি