ফেনীতে স্বর্ণের বার ডাকাতির ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসিসহ সাত পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনাটি ছিল দেশে বেশ আলোচিত।
গত ৮ আগস্ট সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ফতেহপুরে রেল ক্রসিং এলাকায় গোপাল কান্তি দাস নামের চট্টগ্রামের এক সোনা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০টি সোনার বার লুটের অভিযোগ ওঠে ডিবির ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
ঘটনার একদিন পর সোনা ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস ডিবির সাবেক ওসি সাইফুল ইসলাম, এসআই মোতাহার হোসেন, মিজানুর রহমান, ও নুরুল হক এবং এএসআই অভিজিৎ বড়ুয়াসহ মাসুদ রানার নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। সেদিনই পুলিশ ডিবির ওসি সাইফুল ইসলামের বাসায় অভিযান চালিয়ে ১৫টি সোনার বার উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অপরাধীদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু সোনার বার ডাকাতি ও লুটের ঘটনার পর দীর্ঘ দিনেও বাকি পাঁচটি বার উদ্ধার হয়নি।
তবে সে সময় সোনার বার উদ্ধার, ডাকাতি ও লুটের বিষয়ে তিন দফা রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও মুখ খোলেননি ডিবির বরখাস্ত ওসি সাইফুল ইসলামসহ অন্যরা।
এ ঘটনায় গত ২৩ আগস্ট মামলার বাদী ব্যবসায়ী গোপাল দাশের গাড়িচালক শওকত আলী ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশের গাড়িচালক মঈনুল হোসেন ও আমজাদ হোসেন তুহিন আদালতে জবানবন্দি দেন। পাশাপাশি এই মামলায় আটক বাদীর সাবেক ব্যবসায়ী অংশীদার সমিদুল আলম ভুট্টো গত ১৫ আগস্ট ডাকাতির ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁকেও মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, সব কিছু গুছিয়ে আনা হয়েছে। মামলার অভিযোগপত্র শিগগিরই দেওয়া হবে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি