ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কটি দুই লেন থেকে ফোরলেনে উন্নীত হওয়ায় সড়কের পাশে থাকা খালটি অনেকটা ভরাট হয়ে যায়। বর্ষায় ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার বাজার এলাকা, পৌরসভার ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮নং ওয়ার্ড এবং দাগনভূঞা সদর ইউনিয়ন ও মাতুভূঞা ইউনিয়নের একটি অংশের পানি এই খাল হয়ে ছোট ফেনী নদীতে গিয়ে পড়ে। ফোরলেনের কাজের কারণে খালটি অনেকটা ভরাট হয়ে যাওয়ায় এবারের বর্যায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে, এসব এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। চাষাবাদ করতে না পারায় ক্ষতির মুখে পড়েন কৃষকেরা।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, পুকুর, মাছের ঘের, আমনের বীজতলা ও সবজি ক্ষেত ডুবে যায়। ভয়াবহ এ পরিস্থিতি এলাকাবাসীকে উদ্বিগ্ন করে তোলে।
এলাকাবাসী জানায়, জলাবদ্ধতার ক্ষয়ক্ষতি থেকে এসব এলাকার লোকজনদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড রামানন্দপুর গ্রামের আবাল বৃদ্ধ বনিতা-বিশেষ করে যুব সমাজ। আজ শুক্রবার সকালে সবাই একযোগে তাই নেমে পড়েন খাল উদ্ধারে। সঙ্গে যোগদেন দাগনভূঞা পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরাও। খালের বিভিন্নস্থানে পানি প্রবাহে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতাসমুহ অপসারণ করা হয়। পৌরসভার মেয়র ওমর ফারুক খান নিজে উপস্থিত থেকে কাজ তদারক করেন। ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. হানিফ নিজেও কাজে অংশ নেন।
ফেনী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও স্থানীয় বাসিন্দা শওকত মাহমুদ বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাময়িকভাবে জলাবদ্ধতা কিছুটা নিরসন করা গেলেও এটা স্থায়ী সমাধান নয় বলে মনে করেন এলাকাবাসী। জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করতে হলে দাগনভূঞার পূর্ব বাজার থেকে মাতুভূঞা ব্রিজ পর্যন্ত খালটি হয় পুনর্জীবিত করা, আর নয় প্রশস্ত আকারের ড্রেন নির্মাণ করতে হবে।
তাই, খাল হোক আর ড্রেন হোক- জনস্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শিগগিরই পদক্ষেপ নেবেন এমন দাবি এলাকাবাসীর।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি