শুল্ক বাড়ার প্রভাবে ফেনীতে বিদেশি ফলের দাম বেড়ে গেছে। প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ টাকা। আমদানি করা ছয় ধরনের ফলে দাম বেড়েছে। এগুলো হলো- আপেল, আঙুর, কমলা, ম্যান্ডারিন, নাশপাতি ও আনার। ফলে ফেনীতে বিদেশি ফলের সরবরাহ কমে গেছে।
বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আঙুর বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, যা আগে ছিল ৫৭০ টাকার মধ্যে। আর ৩২০ টাকার আপেল বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। এছাড়া আনার ৪৫০, কমলা ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সম্প্রতি সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রভাব পড়েছে আমদানি করা ফলের দামে। এজন্য শুল্ক কমানোর দাবিতে মানববন্ধনেরও ডাক দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে ফেনী শহরের মহিপাল ফল আড়তের ব্যবসায়ী-কর্মচারীরা মানববন্ধনে অংশ নেন। তারা শুল্ক কমানোর দাবি জানান।
এসময় বক্তব্য রাখেন ফেনী ফল আড়তের ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক রহিম উদ্দিন রিপন, সদস্য মো. জিয়া উদ্দিন, মো. তাজুল ইসলাম, মো. শাহজাহান, মো. খোকন মিয়া, মো. ছালেহ আহাম্মদ চট্টু ও মো. আমিনুল হক লাভলু প্রমুখ।
ফল ব্যবসায়ী মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, অতিরিক্ত শুল্কের কারণে বেচাবিক্রি কমে গেছে। এতে অনেক ব্যবসায়ী বেকার হয়ে যাচ্ছেন। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে ফল। আমাদের দাবি না মানলে পরবর্তীতে আরও কঠোর আন্দোলনে যাবো।
ফেনী ফল আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি ফারুক চৌধুরী বলেন, সম্পূরক শুল্কের কারণে ব্যবসা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রতি চালানে আর্থিক লোকসানে পড়তে হচ্ছে। বিগত সময়ে প্রতি ট্রাক ফল যেখানে একদিনে বিক্রি করা সম্ভব ছিল, সেখানে এখন ৩-৪ দিনেও বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার না করলে আমদানি করা তাজা ফলের ব্যবসা চালানো সম্ভব হবে না।
ফেনী ফল আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রহিম উল্ল্যাহ বলেন, একজন মানুষের প্রতিদিন ৮০ গ্রাম ফল খেতে হয়। বর্তমান দাম অনুযায়ী কারও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ফল নেই। গরিব-মধ্যবিত্তরা ফল কেনার কথা চিন্তাও করতে পারবে না। এ ব্যবসার সঙ্গে কোটি কোটি মানুষ জড়িত। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে ব্যবসা অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে।
এর আগে, ৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুকনো ও টাটকা ফল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করে। আপেল, আঙুর ও তরমুজের মতো কিছু টাটকা ফল এবং জুসের ওপর শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি