ফেনী কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে হামলা-ভাংচুর ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের সহকারী পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন (৫৫) বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রধান আসামী হলেন- ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক ও জেলা কাজী সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন দিদার (৪৯)। অপর আসামী হলেন- ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন (৪৮), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আশ্রাফ উল্লাহ রাসেল (৪৭), সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন (৪৯) ও নুরুল আমিন (৪৫)।
মামলার এজাহারে মো. নিজাম উদ্দিন উল্লেখ করেন, রোববার দুপুরে আনোয়ার হোসেন ও নুরুল আমিন আমার অফিসে ভিয়েতনামে ভ্রমন ভিসায় ফিঙ্গার প্রিন্ট নিতে আসে। ভ্রমণ ভিসায় কোন প্রকার ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়া হয় না, তাদের জানালে আনোয়ার হোসেন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দসহ হুমকি প্রদান করে বের হয়ে যায়।
এরপর দুপুরে তারা দলবদ্ধ হয়ে এসে পুনরায় ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহণের জন্য আসে। আমি অপারগতা জানালে মহিউদ্দিন দিদারের নেতৃত্বে আসামীরা আমাকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে। আমি বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবগত করার চেষ্টা করলে দিদার আমার ল্যান্ডফোন সেটের লাইন ছিঁড়ে ফেলে ও সেটটি ছুঁড়ে ফেলে দেয়। মোবাইল ফোনে বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানাতে চাইলেও তারা আমার ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর মহিউদ্দিন দিদার ও আনোয়ার হোসেন আমার টেবিলের উপর চেয়ার দিয়ে আঘাত করে গ্লাসসহ ৪টি চেয়ার ভেঙ্গে ফেলে।
পরবর্তীতে আমার শোর চিৎকারে অফিসের লোকজনসহ স্থানীয় জনসাধারণ এগিয়ে আসে। এসময় নুরুল আমিন পালিয়ে যায়। আমি স্থানীয়দের সহায়তায় দিদারসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশে খবর দিই। হামলায় ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় নিজাম উদ্দিন উল্লেখ করেন।
ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম পলাশ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় মহি উদ্দিন দিদার, আনোয়ার হোসেন, আশ্রাফ উল্লাহ ও জসিম উদ্দিনকে আটক করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি/এপি