ফেনীতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে অবৈধভাবে বিক্রির জন্য আটক রাখা ৩৫০টি বন্য পাখি উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। এ সময় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন খুলনার সোনাকান্দা থানার মো. আজাহার আলী শিকদার ও মো. রাসেল শিকদার।
তারা ফেনী পৌরসভার চাড়িপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দুলাল মিয়ার কলোনির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন। উদ্ধার পাখীগুলো পরে স্থানীয় কাজিরবাগ ইকোপার্কে অবমুক্ত করা হয়েছে। রোববার দুপুরে এসব পাখী উদ্ধার ও অবমুক্ত করা হয়েছে।
সামাজিক বন বিভাগের ফেনী সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র ভৌমিক জানান, গোপন সংবাদের ভিক্তিতে ফেনী পৌর এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের চাড়িপুর এলাকার দুলাল মিয়ার কলোনির একটি ঘরে পাখীগুলো অবৈধভাবে কয়েকটি খাঁচায় আটক রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে ফেনী জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা কুলসুম কলি ও সুবল চাকমার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। রোববার দুপুরে বিভিন্ন প্রজাতির ৩৫০টি পাখি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত পাখির মধ্যে রয়েছে- ২৮০টি চন্দন টিয়া, ১৩টি মুনিয়া, ৫০টি শালিক ও ৭টি দেশি টিয়া পাখি।
এ সময় বন্য পাখি অবৈধভাবে নিজের হেফাজতে রাখার অপরাধে খুলনার সোনাডাঙা থানার হাফিজ নগর এলাকার আতাহার আলী শিকদারের ছেলে মো. আজাহার আলী শিকদার ও মো. রাসেল শিকদারকে গ্রেফতার করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে উভয়কে দুই মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়। গ্রেফতার আসামিদের ফেনীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দুপুর ২ টার দিকে উদ্ধার করা পাখীগুলো ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইকোপার্কে অবমুক্ত করা হয়। এ সময় ফেনী জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা কুলসুম কলি ও সুবল চাকমা, বন বিভাগের ফেনী সদর উপজেলার রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন।
ফেনী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, অভিযুক্ত দুইজন তাদের অপরাধ স্বীকার করায় তাদেরকে দুই মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে ফেনী কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এক মাস আগে তাদের বাবা আতাহার আলী সিকদার একই অপরাধে গ্রেফতার হয়ে ফেনী কারাগারে রয়েছেন।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি