বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন নষ্ট করে দেয়ায় ফেনীর সোনাগাজীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল পারভেজ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরীন ফেরদৌসির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বালু মহাল ইজারাদার মো. রুহুল আমিন।
বুধবার দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে (আমলী আদালত-৩ এ) স্বশরীরে হাজির হয়ে তিনি এ মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
বাদি মামলায় উল্লেখ করেন, তার মালিকীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স রুহুল আমিন এর নামে সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ বালু মহালটি থেকে বালু উত্তোলনের জন্য ফেনী জেলা প্রশাসক থেকে ইজারা নেন। গত ২২ জুলাই জেলা প্রশাসনের সাথে ইজারাদার রুহুল আমিন ৩শ টাকা মূল্যের নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে বালু উত্তোলনের চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন।
গত ২৬ জুলাই জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর বাংলা ১৪২৫ সালের ১ বৈশাখ থেকে ১৪২৫ ৩০ চৈত্র পযন্ত বালু উত্তোলনের জন্য তাকে কার্যাদেশ দেন। ইজারাকৃত জায়গায় ইজারাদার রুহুল আমিন বালু উত্তোলনের জন্য একটি ড্রেজার মেশিন এনে রাখেন। গত ২৭ আগস্ট সোমবার বিকালে সোহেল পারভেজ (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) ও শাহরীন ফেরদৌসী (সহকারি কমিশনার ভূমি) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ড্রেজার মেশিনটির সংযোগ তার কেটে দেন এবং মেশিনটি অচল করে দেয়ার জন্য উপস্থিত শ্রমিকদের নির্দেশ দেন। উপস্থিত লোকজন তাদেরকে রুহুল আমিন বৈধভাবে বালু মহালটি ইজারা নিয়েছেন বলে অবহিত করলে তা কর্নপাত না করে ড্রেজার মেশিনের ইঞ্জিনে ১ কেজি লবণ ও ১ কেজি চিনি ঢেলে দিয়ে ড্রেজার মেশিনটি অকেজো করে দেন। এছাড়া বাদিকে ফৌজদারি মামলায় জড়িয়ে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতারেরও হুমকি দেন। এতে ইজারাদার রুহুল আমিনের আনুমানিক ২২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ১৬৪/৪২৭/৫০৬ ধারা মোতাবেক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন।
বাদি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট জাহিদ হোসেন খসরু, এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, ফজলুল হক ছোটন ও এডভোকেট নাছির উদ্দিন বাহারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী।
এবিষয়ে বক্তব্য জানতে সোনাগাজীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল পারভেজকে বার বার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সম্পাদনা : এএএম/এসকে