ফেনীতে আজ শুক্রবার দুই পরিবারের ১৪ জন সহ নতুন করে ৪৪ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আজ সকালে নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগার থেকে নমুনা প্রতিবেদন আসে। সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। করোনার সংক্রমণ শুরুর পর জেলায় একদিনে করোনা শনাক্ত হওয়ার দিক থেকে এটা সর্বোচ্চ রেকর্ড।
স্বাস্থ্য বিভাগের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সদর উপজেলায় ১৪ জন, দাগনভুঞায় ১৮ জন, সোনাগাজীতে ৯ জন, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ায় ১ জন করে নমুনা পজেটিভ এসেছে। সদর উপজেলায় শনাক্ত ১৪ জনের মধ্যে একজন এলজিইডি ও একজন ব্যাংক কর্মচারী। অন্যরা শহরের মাষ্টারপাড়ায় ১ জন, ডাক্তারপাড়ায় ১ জন, শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক ১ জন, হাজারী রোড ১ জন, ধর্মপুর ইউনিয়নে ১ জন ও শর্শদী ইউনিয়নে ১ জন রয়েছে।
দাগনভূঞার আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একই পরিবারের ৯ জন। তাদের বাড়ি রাজাপুর ইউনিয়নের জয়নারায়নপুরে। এছাড়া সদর ইউনিয়নের জগতপুরে ৩ জন, পূর্ব চন্দ্রপুরে ৩ জন, সিন্দুরপুরে ২ জন ও ১ জন রাজাপুর এলাকার বাসিন্দা।
সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের একই পরিবারের ৫ জন, বগাদানা ইউনিয়নের কাজিরহাট এলাকায় বাবা ও তিন বছর বয়সী মেয়ের করোনা শনাক্ত হয়। ফুলগাজী উপজেলার উত্তর দৌলতপুর সাহাপাড়া এলাকার ৫০ বছর বয়সী নারীর করোনা শনাক্ত হয়। তিনি পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছেন। ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের উত্তর যশপুরে একজন আক্রান্ত হয়েছেন।
সূত্র আরো জানায়, গত ১৬ এপ্রিল জেলায় প্রথম এক যুবকের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর দেড় মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১শ ৩৩ জনে। সুস্থ হয়েছেন ৫৩ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১ হাজার ৩শ ৯৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ থেকে মঙ্গলবার ১ হাজার ২শ ৩১ জনের প্রতিবেদন আসে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এমপি