ফেনী শহরের মহিপাল। রাজধানী ঢাকা আর বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মাঝামাঝি স্থানে আন্ত:জেলা পরিবহন টার্মিনাল এখানে। দীর্ঘদিনের বদনাম ঘুচতে এবার সবধরনের পরিবহন চাঁদাবাজি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। তার ইতিবাচক এ উদ্যোগে খুশি পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
সরেজমিনে জানা গেছে, ফেনী-ঢাকা, ফেনী-কুমিল্লা, ফেনী-চট্টগ্রাম, ফেনী-খাগড়াছড়ি, ফেনী-নোয়াখালী, ফেনী-বসুরহাট, ফেনী-লক্ষ্মীপুর, ফেনী-সোনাগাজী সড়কে প্রতিদিন ১ হাজার গাড়ী যাতায়াত করে। এছাড়া রয়েছে এলাকার সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ড। এসব গাড়ী থেকে পৌরসভার নির্ধারিত টোল ছাড়াও নামে-বেনামে চাঁদা আদায় করে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গণপরিবহন থেকে সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি চলছে দীর্ঘদিন। ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে আদায় হওয়া এসব চাঁদার টাকায় একটি চক্রের পকেট ভারী হয়। শ্রমিকদের কোন কাজে না আসায় তারাও ক্ষুদ্ধ।
গত বৃহস্পতিবার থেকে শহরের মহিপাল এলাকায় বিভিন্ন স্ট্যান্ড ও সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের হুুঁশিয়ারি দিয়ে বেশ কিছু ফেস্টুন ঝুলিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক স্বপন মিয়াজী।
তিনি জানান, এসব স্ট্যান্ড থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করলে্ও করোনাকালে কোন সংগঠনকে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি।প্রতিটি পরিবহন কাউন্টার ও স্ট্যান্ডে গিয়ে পৌরসভার নির্ধারিত টোল ব্যতিত কাউকে কোন প্রকার চাঁদা না দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। কেউ চাঁদা আদায় করতে গেলে তাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দের অনুরোধ জানান।
তিনি আরো জানান, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা। প্রতিটি কাউন্টারে ও ফেস্টুনে র্যাব ও ফেনী মডেল থানা পুলিশের নাম্বার দেয়া হয়েছে। চাঁদাবাজি বন্ধে র্যাব-পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিততার আশ্বাস দিযেছে বলে জানান স্বপন মিয়াজী।
ফেনীস্থ র্যাব-৭ এর কোম্পানী অধিনায়ক মো: নুরুজ্জামান বলেন, শুধু পরিবহন নয় সবধরনের চাঁদাবাজি রোধে র্যাব সদস্যরা তথপর রয়েছে। অভিযোগ পেলেই তাথক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এজন্য মহিপাল এলাকায় টহল জোরদার রয়েছে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি