আজ

  • শুক্রবার
  • ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরশুরামে অসহায় মানুষদের ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা দিলেন ডা. জাহানারা আরজু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. জাহানারা আরজু পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প সেবার মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এর আগে বৈশ্বিক মহামারী করোনার শুরুতে যেসব ডাক্তার বিনামূল্যে মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন তিনি তাদের অন্যতম। নিজ এলাকায়ও প্রায়ই ফ্রি ক্যাম্পের মাধ্যমে অসহায় মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছেন এই চিকিৎসক।

    শুক্রবার ফেনী জেলার পরশুরামে “হোসনে আরা চৌধূরী (রানী) ডায়াবেটিক হাসপাতালে” তার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিনি দিনব্যাপী অসহায় মানুষদের চিকিৎসা সেবা দেন।

    এ বিষয়ে ডা. জাহানারা আরজু বলেন, করোনাকালে সেভাবে রোগী দেখতে পারিনি। তবে মানুষকে ফ্রি টেলিমেডিসিন সেবা দিয়েছি। আজকেও পরশুরামে সেবা দিলাম।

    তিনি বলেন, পরশুরাম ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যার উদ্যোগের জন্যে এই সেবা দিতে পেরেছি। হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাহফুজ, ডা. নূপুর, ডা. হাসান এবং ডা. মিতুলও আমাকে সহযোগিতা করেছেন। তাদের সহযোগিতা ছাড়া এতো রোগী দেখা সম্ভব ছিল না।

    তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে উৎসাহিত করার জন্য পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল করিম বাদল, পরশুরামের পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

    সেবার বিষয়ে অনুপ্রেরণার কথা জানিয়ে ডা. আরজু বলেন, ডা. মেজবা উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী চাচা আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। তিনি ১৯৪০-৪১ সালের দিকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হতে এমবিবিএস পাশ করেছিলেন।

    কোন চিন্তাভাবনা থেকে এই সেবা দিচ্ছেন জানতে চাইলে ডা. আরজু বলেন, এসব কাজ করার পেছনে আমার আলাদা কোনও চিন্তাভাবনা নেই। আমার মা-বাবা বলতেন যতদূর পারো, মানুষের সেবা করো। ডাক্তার হয়েছো, চাকরি করো। কিন্তু এর পাশাপাশি মানুষের সেবা করতে হবে।

    আমার শাশুড়িও বলতেন, আমার শ্বশুরের বড় ভাই ডাক্তার ছিলেন। উনি নাকি এলাকায় খুব সেবা দিতেন। তখন এসব শুনে আমিও বলতাম যে, এলাকায় গিয়ে মানুষের সেবা করবো। তাছাড়া, আমি মনে করি, এখনই আমার সেবা করার মুখ্য সময়। আর কয়েক বছর পর শারীরিক অবস্থা কেমন থাকবে, তাতো জানি না। কাজেই আমি মনে করি যে, এখনই আমাদের দেওয়ার সময়।

    তিনি আরও বলেন, আমার শাশুড়ির নামে অর্থাৎ শ্রদ্ধেয় হোসনে আরা চৌধুরীর নামে এই ডায়াবেটিক হাসপাতাল হয়েছে। প্রথম দিকে আমি এলাকায় গেলে যে যেখানে ডাকতো আমি ফ্রি ক্যাম্পে গিয়ে রোগী দেখতাম। এখন আমি এই হাসপাতালে বসে রোগী দেখি।

    উল্লেখ্য, ডা. জাহানারা আরজুর পরিবারের ট্রাস্ট ফান্ডও রয়েছে। তার মরহুম শ্বশুর সালেহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং শাশুড়ি হোসনে আরা বেগম চৌধুরীর নামে এই ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। তার স্বামী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এই ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। এর মাধ্যমে ফেনীতে সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য সহযোগিতা করছেন তাদের পরিবার। শুধু তাই নয়, পারিবারিক ফাউন্ডেশন থেকে কলেজ নির্মাণসহ অসহায় মানুষের জন্য আরও নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে ডা. আরজুর পরিবার।

    ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি


    error: Content is protected !! please contact me 01718066090