ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কোরাইশমুন্সী বাজারের পাশে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার অপরাধে মঙ্গলবার দুপুরে তিনটি স্কেভেটরে আগুন দিয়ে ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দাগনভূঞা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কোরাইশমুন্সী বাজারের পাশে উত্তর আবদুল নবী, লতিফপুর ও নন্দীগাঁও গ্রাম থেকে কৃষি জমির মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইট ভাটায়। ওই গ্রামের মৃত কাজী নুর আহমদের ছেলে কাজী সায়েম ও পূর্ব চন্দ্রপুর গ্রামের মো. সোহেল গ্রামের সহজ সরল কৃষকদের কাছ থেকে কম মূল্যে মাটি ক্রয় করে। পরে তারা অধিক মূল্যে মাটিগুলো ইটভাটায় বিক্রি করে। এতে কৃষি জমির উর্বরতা শক্তি হারিয়ে ফেলছে। অনেক জমি থেকে গভীর করে মাটি নিয়ে যাওয়ার কারণে জমিগুলো চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এদিকে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর গাড়ীর চাপে গ্রামীণ সড়কগুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দাগনভূঞা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী খবর পেয়ে হানা দেয়। ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবর পেয়ে মাটি বিক্রেতা ও ট্রাক্টর চালকরা পালিয়ে যায়।
পরে উত্তর আবদুল নবী গ্রামে মাটির দালাল কাজী সায়েমের জমিতে অভিযান চালায়। কাজী সায়েমসহ স্ক্যাভেটর মেশিন চালকরা পালিয়ে যায়। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত মাটিকাটার কাজে ব্যবহৃত স্কেভেটর মেশিনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
একই সময় লতিফপুর গ্রামে রাজাপুর বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের সামনে আবু সুফিয়ানের জমিতে অভিযান চালায়। সেখানেও ট্রাক্টর চালক, স্ক্যাভেটর চালক ও শ্রমিকরা ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালিয়ে যায়। পরে এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত মাটিকাটা কাজে ব্যবহৃত স্কেভেটর মেশিনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মাটিগুলো সত্যপুর ব্রিক ফিল্ডের সত্ত্বধিকারী মইনের কাছে আবু সুফিয়ান বিক্রি করেছে বলে মাটিকাটা শ্রমিকরা জানায়।
পাশ্ববর্তী নন্দীগাঁও গ্রামেও একই চিত্র পাওয়া যায়। সেখানেও স্কেভেটর মেশিনে আগুন ধরিয়ে দেয়। অভিযানে কোরাইশমুন্সী পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই নিখন চাকমাসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি/এপি