সমাচার রিপোর্ট :
ফেনী শহরের এসএসকে রোডে ছাত্রলীগ নেতা মোস্তফা আহম্মদ শাকিল হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাকে কেন্দ্র করে ফেনীতে গ্রেফতার আতন্কে বাড়ী -ঘর ছাড়া হয়ে পড়েছেন বিএনপি ও অজ্ঞ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।শনিবার সন্ধ্যায় শাকিলের বাবা হুমায়ুন কবীর বাদি হয়ে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন।মামলায় ফেনী পৌর বিএনপির সভাপতি আলাল উদ্দিন
আলাল,জেলা কৃষকদলের সভাপতি আলমগীর চৌধুরী,জেলা ছাত্রদল সভাপতি নাঈম উল্যাহ চৌধুরী বরাত,ছাত্রদল নেতা রিয়াদ পাটোয়ারি,নুরুল ইসলাম,ভিপি বেলাল,শরিফুল ইসলাম রাসেল,যুবদল নেতা জাহিদ হোসেন বাবলুসহ ২১ জন নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে।শনিবার রাতেই পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছেন।বিএনপি নেতাদের দাবী বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানির উদ্দেশ্যে এ মামলায় আসামী করা হয়েছে।জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট আবু তাহের শাকিল হত্যা মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।তিনি বলেন ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে শাকিল নিহত হয়েছেন।অথচ হয়রানির উদ্দেশ্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামী করা হয়েছে।ফেনী পৌর বিএনপির সভাপতি আলাল উদ্দিন আলাল বলেন এটি একটি কাল্পনিক মামলা।বিএনপি নেতাকর্মীদের মনে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য মিথ্যা মামলাটি দেয়া হয়েছে।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতা শাকিল হত্যা মামলায় জেলা ছাত্রদল নেতা রিয়াদ পাটোয়ারী(২৯)সহ অন্য যাদের আসামী করা হয়েছে তারা হলেন নুরুল ইসলাম(৪১) পশ্চিম রামপুর,জাহিদ ইমন(২৩) রামপুর স্কুলের সামনে,ইব্রাহিম পাটোয়ারী প্রকাশ ইবু পাটোয়ারী (২২)রামপুর পাটোয়ারী বাড়ি,রায়হান(২৩)পূর্ব ডাক্তার পাড়া,বিজয়(২২)এসএসকে রোড, মোঃ শুভ(২৮)রামপুর,আমান উদ্দিন কায়সার সাব্বির(৩৬)দক্ষিন চাড়ীপুর, শরিফুল ইসলাম রাসেল(৩৬)রামপুর,আশ্রাফ জাহান সৈকত(২৪)পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টার, আলাল উদ্দিন আলাল(৪৫)রামপুর,জাহিদ হোসেন বাবলু(৩৮)পাঠাননগর,মোঃ রনি(৩৪)বগইড়,ইয়াকুব নবী(৪৫)পূর্ব বিজয় সিংহ,নাঈম উল্যাহ চৌধুরী বরাত(৩০)তাকিয়া রোড,আলমগীর চৌধুরী (৪৮)মধ্যম ফরহাদ নগর,রানা(২৮)শাহীন একাডেমী রোড,ভিপি বেলাল(৪০)ফলেশ্বর,দেলোয়ার হোসেন দেলু(৪০)পিচ্ছি শাহজাহান(৪৫)নিজপানুয়া,ছাগলনাইয়া, নাদিম(২৪)ফলেশ্বরসহ অজ্ঞাত আরো ৩০/৪০ জন।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্যাহ কায়সার সড়কের জহিরিয়া মসজিদের পাশে দুর্বত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন আহত ছাত্রলীগ নেতাকে প্রথমে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তির পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাতেই সে মারা যায়। এ ঘটনার দুই দিন পর শনিবার সন্ধ্যায় ফেনী মডেল নিহতের পিতা বাদী হয়ে ৬১জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় খবির আহম্মদ (৫০) ও শরিফুল ইসলাম (২০) নামে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদ খান চৌধুরী ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের ও দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন।