ফেনীর সুলতানপুরে গরু ব্যবসায়ী শাহজালাল হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি কাউন্সিলর আবুল কালাম এখনো অধরা। ঘটনার পর থেকেই কালাম গা ঢাকা দিয়েছেন। ঘটনার ১১ দিন অতিক্রম হলেও কোনোভাবেই তার হদিস মিলছে না। পুলিশ বলছে তাকে ধরতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে তারা। এদিকে প্রধান আসামি ধরা না পড়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শাহজালালের বাবা কিশোরগঞ্জের আবদুল জব্বার।
একটি সূত্র জানায়, কালামকে ধরতে পুলিশ বিভিন্নস্থানে একাধিকবার সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। তবে তাকে আটক করা যায় নি।
এর আগে গত শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকালে ফেনী পৌরসভার ফেনী গালর্স ক্যাডেট সংলগ্ন আমিনবাজার সড়কের পাশের একটি পুকুর থেকে শাহজালালের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড় ইউপি মেম্বার আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে কালামকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় অন্যান্য আসামিরা হচ্ছেন- ছাগলনাইয়ার দক্ষিণ মন্দিয়ার নাজিম উদ্দিনের ছেলে নাঈমুল হাসান, ফেনী শহরের বিরিঞ্চি এলাকার মফিজ মেম্বার বাড়ির দুলালের ছেলে রাজু। ঘটনার পর থেকে কাউন্সিলর কালাম ও রাজু পলাতক রয়েছেন। এর মধ্যে নাঈমুল হাসানকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সুলতানপুর এলাকায় এলে স্থানীয় কাউন্সিলর আবুল কালাম ও তার ২ সহযোগী মিলে কোরবানির গরু লুট করতে গিয়ে গরু ব্যবসায়ী শাহজালালকে গুলি করে হত্যা করেন। তার মরদেহ মোটর সাইকেলে তুলে আমিন বাজার সড়কের পাশের একটি পুকুরে ফেলে রেখে যান কালাম ও তার সহযোগী।
এদিকে জেলা পুলিশ বিভাগ জানায়, পলাতক চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি কালামকে গ্রেফতারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মাঈনুল ইসলাম জানান, কালামকে ধরতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি