ফেনীতে দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে পুষ্টিবিদ। পুষ্টি সম্পর্কিত নীতিনির্ধারণী প্রতিষ্ঠান জাতীয় পুষ্টি পরিষদও কার্যত অচল। জেলায় এ কমিটি গঠন হলেও নির্ধারিত সময়ে বৈঠকাদিও হয় না। পুষ্টি সম্পর্কিত কর্মসূচি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে এই পরিষদের কার্যত ভূমিকা না থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছে জনস্বাস্থ্য।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট ২৫ সদস্য বিশিষ্ট জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজ আহম্মদ চৌধুরী এ কমিটির উপদেষ্টা। কমিটিতে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান সভাপতি ও সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজজামান সদস্য সচিব রয়েছেন। পৌর মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এ কমিটির সদস্য। কমিটির কর্মপরিধিতে ৭টি লক্ষ্য যথাক্রমে- দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্ম পরিকল্পনার আলোকে জেলা পর্যায়ে পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন, সমন্বয় পরিবীক্ষন ও মূল্যায়ন, পুষ্টিজ্ঞান, সম্প্রসারণ তথা পুষ্টি বিষয়ে জনগনের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, জেলা পর্যায়ে সার্বিক পুষ্টি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন, পুষ্টি সপ্তাহ পালন, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন, জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটি প্রতি ২ মাসে কমপক্ষে একবার সভায় মিলিত হবে, নূন্যতম এক তৃতীয়াংশ সদস্য সমন্বয়ে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভায় ফোরাম গঠিত হবে। জেলায় এ কমিটি গঠন হলেও নির্ধারিত সময়ে বৈঠকাদিও হয় না। পুষ্টি সম্পর্কিত কর্মসূচি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে এই পরিষদের কার্যত ভূমিকা না থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছে জনস্বাস্থ্য।
জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজজামান বলেন, পুষ্টিবিদ না থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে পুষ্টি বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের তৃণমূলের কর্মীদের বেশ কিছু ট্রেনিং দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে তারা গর্ভবতী নারী ও শিশুদের সচেতন করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্পাদনা : এএএম/এপি