এখন রাত পৌনে ৩টা। তবুও ঘুমে চোখের পাতা ততটা ভারী হয়নি। গতকাল বিকেলে দেখা সে মহিলার কথা আনমনে শুধু ভাবছি। সত্যি কথাটা কীভাবে লিখবো: না লিখবো? আচ্ছা লিখি…
ছবিতে ২৫-২৬ বছর বয়সি এক মহিলাকে দেখছেন। অনেকের মনে কৌতুহল জেগেছে। তাকে নিয়ে কী লিখবো। সত্যি অজানা কাহিনী।
মহিলার দুই মেয়ে। সাথে যে আছে সে হচ্ছে বড়। ছোট মেয়েটি কই? সেতো মায়ের কোলে থাকার কথা। তারতো এখনো দুধ ছাড়ার বয়স হয়নি।
অজানা কাহিনী : চিকিৎসার অভাবে দশ মাস আগে এই মহিলার স্বামী মারাগেছে। ছোট্ট মেয়েগুলো তাদের বাবাকে হারিয়েছে। দু’বেলা তাদের পেটে ভাত জোটে না। না খেয়ে থাকতে হয়। তার ওপর নতুন করে রোগ বাসা বেধেছে দুই দেবরের শরীরে। বড় দেবর আর কয়দিন বাদে মরে যাবে। দুই কিডনিই অকেজো। ঘরের ভিটির অর্ধেক বিক্রি করে দিয়েছে শ্বশুর। ছোট দেবরের চোখে আলো নিভু নিভু করছে। না জানি তারও শরীরে কী পঁচন ধরেছে। বহুদিন বাজার করা হয়নি এই পরিবারে। না খেয়ে কতদিন থাকা যায়? ‘তাই ছোট মেয়েকে… দিয়েছি। নাড়ি ছেঁড়া মানিককে অভাবের তাড়নায় বুকে রাখতে পারিনি।’ হায়রে অভাব তুই বড় হিংস্র। (বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এরকম এক’শ নারীকে সাবলম্বী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।)
(যমুনা টিভির সাংবাদিক আরিফুর রহমানের ফেসবুক থেকে নেয়া)