ফেনীর সোনাগাজীতে জেঠা শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলাকারী প্রবাসীর স্ত্রীকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের কারণে একটি মামলা দায়েরও করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এই আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন আগে তাকে একা রেখে তার শ্বাশুড়ি লাকি আক্তার নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। সে তার ৮ বছরের শিশুপুত্র নিয়ে শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। এই সুযোগে রাত ১২টার দিকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তার শয়ন কক্ষে ঢুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। বিষয়টি তার শ্বাশুড়িকে জানালে তিনি বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে চুপ থাকতে বলেন। এক পর্যায়ে সে গর্ভে সন্তান ধারণের বিষয়টি তার শ্বাশুড়িকে জানালে তার শাশুড়ি অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তাকে ভুল বুঝিয়ে জেঠা শ্বশুর সফি উল্যাহর বিরুদ্ধে সোনাগাজী মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করান।
তার শাশুড়ির সাথে জেঠা শ্বশুরের জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মিথ্যা মামলা আনয়ন করেছেন। তার জেঠা শ্বশুর উক্ত মিথ্যা মামলা থেকে জামিনে যেতে বা মুক্তি পেতে তার কোন আপত্তি নেই। তিনি ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে এই আবেদন করেন। তার এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত একমাত্র আসামি সফি উল্যাহকে জামিনের আদেশ দেন। মিথ্যা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মিথ্যা মামলা দায়েরের অপরাধে ১৭ ধারা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে গৃহবধূর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট ফয়েজুল হক মিল্কি।
প্রসঙ্গত; গত ২২ নভেম্বর সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের ছাড়াইতকান্দি গ্রামের বক্স আলী সুফি বাড়ির সফি উল্যাহর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ৫ মাসের অন্তসত্ত্বা এক গৃহবধূ।