দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা বাংলাদেশের ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথে ফের শুরু হতে চলেছে ট্রেন পরিসেবা। ভারতের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের উদ্যোগে বন্ধ থাকা এই রেলপথে ছুঁটবে ট্রেন শীঘ্রই।
চলতি মাসের (জুলাই) গত সপ্তাহ থেকে ফেনী-বিলোনিয়া রেললাইনের দুইপাশের দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করতে দখলদারদের তালিকা তৈরীর কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। ফেনী থেকে বিলোনিয়া পর্যন্ত দুপাশের সকল স্থাপনা নির্মানকারীর তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছে রেল কর্তপক্ষ।
তালিকা তৈরীর সাথে সম্পৃক্ত এক কর্মকর্তা জানান, রেললাইনের দুই পাশের জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিটি স্থাপনাকে লাল রং দিয়ে চিহ্ন দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯২৯ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ফেনী-বিলোনীয়া পথে চালু ছিল ট্রেন চলাচল। ফুলগাজী, নতুন মুন্সীরহাট, পরশুরাম, আনন্দপুর, বন্দুয়ার দৌলতপুর, চিথলিয়া ও বিলোনীয়া এই স্টেশনগুলো রয়েছে এই পথে। লোকসানের কারণে ১৯৯৭ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয় এই রেলপথ। দীর্ঘ সময় পর আবার এই রেলপথ চালুর উদ্যোগ নিলো ভারত সরকার। ইতিমধ্যে ভারত সরকারের একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে রেলপথটি। শুরু হয়েছে সংস্কার কাজ। এই পথ চালুর জন্য সবধরনের অর্থ বরাদ্দ করবে ভারত সরকার।
এই রেলপথ চালু হলে ভারত-বাংলাদেশ মধ্যে বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের পরশুরামে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিলোনীয়া অংশে স্থলবন্দর রয়েছে। এই রেলপথ পুনরায় চালু হলে যাতায়াতের সুবিধার পাশাপাশি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে। লাভবান হবে দু’দেশের ব্যবসায়ীরা।
রেল লাইনের উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনায় অবস্থিত পুষ্প কেন্দ্রের সত্বাধিকারী মহিউদ্দিন জানান, রেল লাইনের লোকজন দোকানে লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করে গেছেন। দোকান ঘর নির্মানকারীসহ ভাড়াটিয়াদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছেন। তারা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
ফেনী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, রেল লাইনটি চালু করতে লাইনের উপর থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে।
উল্লেখ্য, পরশুরাম বাজারের রেল লাইনের জায়গা দখল করে বহুতল মার্কেটসহ ছোট বড় অসংখ্য স্থাপনা নির্মান করা হয়েছে। রেললাইনের জায়গা জোর পূর্বক দখল করে ভাড়া দিয়ে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এছাড়াও কয়েকজন নিজের নামে কোন কাগজপত্র না থাকলেও লাখ লাখ টাকার বিনিময় বিক্রি করেছেন রেলওয়ের জায়গা।
সম্পাদনা : এএএম/এসকে