ফেনীতে বাল্য বিয়ের দায়ে কাজীর ২০ হাজার জরিমানা ও কনের বাবার ১৫ দিনের জেল দিয়েছেন ফেনী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলিমা শিরিন। আজ (২৬ জুন) শুক্রবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফেনীর রামপুর হাফেজ উকিল বাড়ি এলাকার ভাড়াটিয়া মো. জহির উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত।
এ সময় ফেনীর রামপুর বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী (জান্নাতুল ফেরদৌসের) সাথে বিয়ের আয়োজন চলছিল ২৫ বছর বয়সী কারখানা শ্রমিক আনোয়ারের সাথে। তারা উভয় নোয়াখালী জেলার লক্ষীপুরের বাসিন্দা। শুক্রবার কাউকে না জানিয়ে কনের পিতা মো. জহির উদ্দিন তার তের বছর বয়সী মেয়েকে আলী আহম্মদের ছেলে মো. আনোয়ারের সাথে দিচ্ছিলেন।
খবর পেয়ে ফেনী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলিমা শিরিন কনের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েবিয়ের দায়ে ফেনীর পৌরসভা ১৮ নং ওয়ার্ডের কাজী নিকাহ রেজিষ্টার আবদুল মতিনকে ২০ হাজার জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত। একই সময় মেয়ের পিতা মো. জহির উদ্দিনকে মেয়ে বাল্য বিবাহের দায়ে ১৫ দিনের জেল দেন। ভ্রাম্যমান আদালতের খবর পেয়ে পাত্র আনোয়ার বাসা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
ভ্রাম্যমান আদালতের সহায়তা করেন বেঞ্চ সহকারী ছিলেন নুর উদ্দিন আরিফ, ফেনী পৌরসভা ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফু উদ্দিন, ১৬ নং ওয়ার্ড বাউন্সিলর আমির হোসেন বাহার ও আইনশৃংখলা বাহিনী সদস্যরা।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি