বাংলার প্রকৃতিতে এখনো বসন্ত আসেনি। মাঘের মাঝামাঝিতেই ফলের রাজার মুকুল ফুটছে গাছে গাছে। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, যশোরসহ কয়েকটি জেলায় মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে আম বাগান। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে পরাগের পাগল করা ঘ্রাণ।
আম বলতে এক সময় উত্তরের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীকেই বোঝাতো। কিন্তু বর্তমান চিত্র অনেকটা ভিন্ন। নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকা সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর, পাবনার ঈশ্বরদী, নাটোর ও দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে প্রায় সব জাতের আম উৎপাদন হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর কৃষি জমিতে বাড়ছে আমের আবাদ।
আবহাওয়াগত ও জাতের কারণেই নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক মাস আগেই আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। তবে মাঘের শেষেই প্রতিটি গাছেই পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটতে শুরু করবে। যেসব গাছে আগাম মুকুল আসতে শুরু করেছে তার বাগান মালিকরা পরিচর্যাও শুরু করে দিয়েছেন রীতিমতো।
আমের মুকুল
নওগাঁর বিভিন্ন বাগান ঘুরে দেখা গিয়েছে, বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে স্বপ্ন। আমরুপালি, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি ও ক্ষীরসাপাত আম অন্যতম। তবে গাছের পুরো মুকুল ফুটতে আরো কয়েক সপ্তাহ লাগবে বলে জানান বাগান মালিকরা।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক এস এম নুরম্নজ্জামান মণ্ডল বলেন, মূলত তিনটি পর্যায়ে আমের মুকুল আসে। যার প্রথম পর্যায় শুরু হয়েছে। পুরোনো জাতের গাছগুলোতে মুকুল ধরেছে।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলিম উদ্দিন বলেন, জানুয়ারির এক-তৃতীয়াংশ সময় পার হলেও তেমন তীব্র শীত নেই। আর শীত না থাকলে একটু আগাম মুকুল আসতে পারে। সেটিই এসেছে। তবে, সব গাছে গাছে মুকুল আসতে আরো কিছুটা সময় লাগবে।
মুকুল আসার পর থেকেই তারা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুল রোগ বালাইয়ের আক্রমন থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছেন তারা।
ফেনী ট্রিবিউন/এনকে/টিআরএইচ/এএএম