আগামীকাল ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ও সোনাগাজী উপজেলা সদর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর আনারস ও ঘোড়া প্রতীকের চাপে পড়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের দুই প্রার্থী ইতিমধ্যে গণসংযোগ, পথসভা ও মাইকিং সহ সবধরনের প্রচারণা শেষ হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত ঘরানার কোন প্রার্থী না থাকায় তারা অনেকটা নিশ্চুপ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দাগনভূঞা উপজেলার ৬ ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে শুধুমাত্র জায়লস্কর ইউনিয়নে ভোট হচ্ছে। এখানে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গত দুইবারের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিলন নৌকা প্রতীকে আর বাংলাভিশন প্রতিনিধি সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। স্থানীয়রা মনে করছেন, স্থানীয় নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হওয়ায় কিছুটা বেকায়দায় রয়েছেন মামুনুর রশিদ মিলন। ভোটের মাঠে ব্যক্তি ইমেজ কাজে লাগাতে পারলেও আঞ্চলিকভাবে বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় দলীয় প্রতীক নিয়ে দুশ্চিন্তায় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা।
তাদের মতে, গত ১০ বছর চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বপালনকালে মানুষের বিপদে-আপদে পাশে ছিলেন মামুনুর রশিদ মিলন। সেক্ষেত্রে তিনি তৃতীয়বারের মতো জয় পেলেও ভোটের ব্যবধান কেমন হবে এনিয়ে তারা হিসাব নিকাশ করছেন।
অন্যদিকে রফিকুল ইসলাম বরাবরই তার প্রচারণায় বাধা এমনকি এজেন্টদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন। তার দাবী, এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভোট বঞ্ছিত। ভোট সুষ্ঠু হলে আনারস প্রতীকে তিনি চমক দেখাবেন। প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মামুনুর রশিদ মিলন এসব অভিযোগকে মিথ্যাচার বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন।
এদিকে সোনাগাজী উপজেলার অন্য সবকটি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীরা নৌকায় সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেও সদরে ভিন্ন চিত্র। বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামছুল আরেফিন ভোটের মাঠে অনঢ়। তার শক্ত অবস্থানের কারনে বিপাকে রয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের মহিলা সম্পাদক উম্মে রুমা সহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
সামছুল আরেফিন জানান, ভোট কারচুপি কিংবা ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দিলে প্রতিবাদে তিনি আত্মহনন করবেন। সুষ্ঠু ভোট হলে ঘোড়া প্রতীকই জয় পাবে।
আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের দাবী, আরেফিন দায়িত্ব পালনকালে স্বেচ্ছাচারিতা করেছেন। ব্যালটের মাধ্যমে তিনি এর জবাব পাবেন।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি