হত্যার হুমকি ও জানমালের নিরাপত্তা ও পৈত্রিক ভিটে-বাড়ি ফিরে পেতে মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী শহরের নবী হোটেলের কনফারেন্স রুমে এক অসহায় পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অসহায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান কামাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের দক্ষিন আবুপুর গ্রামের মোল্লা বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবদুর রশিদ মোল্লার ছেলে কামাল উদ্দিন মোল্লার পরিবারের সাথে একই বাড়ির আবু আহম্মদের ছেলে সাঈদ রাহাত, মেজবাহ উদ্দিন গংদের সাথে পূর্বে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। বিরোধের জের ধরে গত প্রায় ৪৫ বছর ধরে পৈত্রিক ভিটা-বাড়ি ছাড়া। এ কারনে ঢাকায় বসবাস করে আসছে। এ সুযোগে মেজবাহ উদ্দিন সম্রাট গংরা কামাল উদ্দিন মোল্লার সম্পত্তি দখল করে তাদের নামে বিএস খতিয়ান তৈরি করে নেন। এ নিয়ে ফেনীর আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে।
এ বিরোধের কারনে ১৩ এপ্রিল কামাল উদ্দিনের বড় বোন হাজেরা বেগম ঢাকার শ্যামলী সরকারী কিডনি হাসপাতালে কিডনি জনিত কারনে মৃত্যুবরণ করলে তার বোনের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মা-বাবার কবরের পাশে তাকে কবর দিতে আনলে নুর হোসেন সোহাগ, আবদুল কাদেরের ছেলে আবু আহম্মদ, আবু সাঈদ রাহাত, সম্রাট গংরা করোনা রোগী প্রচার করে লাশ এলাকায় নিতে বাধা প্রদান করে। লাশবাহী গাড়ির উপর হামলা করে গাড়ি ভাংচুর করে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। লাশ দাফন করতে বাধা প্রদান করে। লাশের গাড়িতে থাকা পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করে নারীদের লাঞ্চিত করে। এ সময় হামলাকারীদের এ রোগী করোনায় মারা যায়নি এবং কিডনি রোগী হিসাবে মারা যাওয়ার হাসপাতালের কাগজপত্র দেখাতে চাইলে তারা কাগজ না চেয়ে লাশ নিতে বাধা দেন। নিরুপায় হয়ে কামাল উদ্দিন বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা নাসরিন সুলতানাকে জানালে তিনি ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম ভূইয়া ও ফেনী মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
একপর্যায়ে প্রশাসন ব্যর্থ হয়ে চেয়ারম্যান জানে আলম, পৌর কাউন্সিলর ফয়সালের সহযোগীতায় ফেনী পৌরসভার কবরস্থানে রাত সাড়ে ১২টার সময় লাশটি দাফন করা হয়। নিজের সম্পত্তি থাকা সত্বেও বেয়ারিশ কবরস্থানে বোনের লাশ দাপন অত্যন্ত বেধনাদায়ক। উক্ত ঘটনায় অভিযুক্ত আবু সাঈদ রাহাত কামাল উদ্দিন মোল্লাকে হত্যার হুমকি দেয়ায় রাহাতের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে। এছাড়া লাশ দাফনে বাধা দেয়া ও হামলার ঘটনায় ফেনীর আমলী আদালতে কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ১০/১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী কামাল উদ্দিন ঢাকায় থাকলেও এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২১ আগস্ট সম্্রাটের নেতৃত্বে এলাহীগঞ্জ বাজারে হামলার ঘটনা ও গোলাগুলির ঘটনায় কামাল উদ্দিনকে মিথ্যা আসামী করা হয়। এছাড়াও তাকে যেকোন মহুর্তে অস্ত্র ও মাদক দিয়ে পুলিশে দেয়ার হুমকি প্রদান করেন। এ বিষয়ে কামাল উদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতা চেয়েছেন।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি