মহামারী করোনা ভাইরাস শংকায় ফেনীতে রোগি দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন ডাক্তাররা। সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবায় ভোগান্তি না হতে এসব প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। বুধবার বিকালে সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশ জারি হয়।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানায়, গত ক’দিন ধরে শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগি দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। বেশ কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টারও বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে রোগিরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ট্রাংক রোডের প্যাসিফিক হেলথ কেয়ার সেন্টারে নিয়মিত চেম্বার করতেন গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. সায়েরা শরিফা শিল্পী। গত ক’দিন ধরে তিনি সেখানে রোগি না দেখায় আজ বুধবার শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ইবনে হাসপাতালে রোগিদের সিরিয়াল নেয়া হয়। হঠাৎ করে সেখানেও রোগি দেখা হবেনা বলে জানিয়ে দেয়া হয়।
সদর উপজেলার বালিগাও ইউনিয়নের রুমা নামে এক রোগি জানান, তিনি গাইনী সমস্যায় ভুগছেন। মঙ্গলবার বিকালে ফেনী এসে কোন ডাক্তার না পেয়ে ফিরে যান।
একাধিক সূত্র জানায়, শহরের ট্রাংক রোডের প্যাসিফিক ছাড়াও সাইকা হেলথ কেয়ার সেন্টার, শতাব্দী ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গ্রীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের নিউ ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফেনী ক্লিরিক, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ভাইটাল রিচার্স, কমপেক্ট মেডিকেল সেন্টার, ই-স্কয়ার ল্যাবসহ বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তাররা চেম্বার করছেন না। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে দু’একজন ডাক্তার চেম্বার করছেন। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতেও ডাক্তাররা চেম্বার বন্ধ করে দিয়েছেন।
সাইকা হেলথ কেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল ইসলাম বাবু জানান, সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী ডাক্তাররা রোগি দেখা স্থগিত করেছেন। পরবর্তী নির্দেশনা পেলে পুনরায় রোগি দেখবেন।
এদিকে সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, ‘নোভেল করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবেরর পূর্বে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নিয়োগকৃত নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী যেভাবে জনসাধারণকে বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা দেয়া হতো বর্তমান সময়েও তারই ধারাবাহিকতায় বজায় রেখে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট মালিক পক্ষকে অনুরোধ করা যাইতেছে। উক্ত আদেশ পালন না করিলে মালিক কর্তৃপক্ষ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।
এ ব্যাপারে ফেনী জেলা প্রাইভেট হাসপাতাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন উর রশিদের বক্তব্য জানা যায়নি।
এ প্রসঙ্গে ফেনী জেলা বিএমএর সাধারন সম্পাদক ডা. বিমল চন্দ্র শীল বলেন, মহামারি করোনায় ডাক্তার-রোগি কেউ ঝুঁকিমুক্ত নন। চেম্বারে ভীড় না ঝমিয়ে এক্ষেত্রে অতীব প্রয়োজন ছাড়া ফোনে সেবা উত্তম বলে তার মত।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এপি