ফেনী শহরের রামপুরে গৃহবধূ মাহমুদা আক্তার শিরিন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে ফেনী শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এক মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে তার ফেনী কলেজের সহপাঠীরা, দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর জাফর ইমাম বীরবিক্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
এর আগে মেয়ে হত্যার সুবিচার চেয়ে ফেনী জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত আবেদন করেন পিতা ওহিদুর রহমান।
মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পাঁচগাছিয়া এজেড খান মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ফকির আহাম্মদ ফয়েজ। এ সময় বক্তব্য রাখেন গৃহবধূর পিতা ওহিদুর রহমান, ভবানীপুর প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক রোকেয়া আক্তার, ফেকসুর জিএস রবিউল হক ভূঞা রবিন, ফেকসুর সহ-সভাপতি সাদিয়া জাহান রাত্রী, সমাজসেবক মোক্তার হোসেন, প্রাক্তন শিক্ষার্থী নিহত গৃহবধূ শিরিনের সহপাঠী শাহানা আক্তার, আব্দুল্লাহ আল কাউসার সাগর প্রমুখ।
শিক্ষার্থীদের সাথে মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুলসংখ্যক লোকজন।
মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা বলেন, গৃহবধূ শিরিনকে পরিকল্পিতভাবে স্বামী পরিবারের লোকজন হত্যা করে আত্মহত্যা বলে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করা হয়। নিহতের স্বজনেরা লাশের শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন দেখে এটিকে হত্যা বলে পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে প্রাথমিকভাবে ধারনা করে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এ ঘটনায় নিহত শিরিনের পিতা অহিদুর রহমান বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার দেখালেও ঘটনার মূল হোতা মামলার ১নং আসামি শাহীনসহ ৪ জন আসামিকে এক সপ্তাহ পরও গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাই অন্যান্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন বক্তারা। আর কোন নারীকে যেন শিরিন এর মত অকালে প্রাণ দিতে না হয় সেজন্য বক্তারা সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানান।
গত বৃহস্পতিবার ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শহরের মধ্যম রামপুর মানিক কমিশনার বাড়ি সংলগ্ন তনু পাটোয়ারী বাড়ীতে মাহমুদা আক্তার শিরিন (২৩) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। মাহমুদা দাগনভূঞার রাজাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম রামচন্দ্রপুরের ছলু ভূঁঞা বাড়ির অহিদুর রহমান ও আলেয়া বেগমের মেজো মেয়ে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি