ফেনী পৌরসভার দুই উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে বৃহস্পতিবার বিকালে মারধর করেছে আলী আশরাফ আরিফ নামের এক ঠিকাদার। এসময় কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভাংচুর, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নষ্ট করে। ঘটনার পর রাতেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। আরিফ সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও পৌরসভা সূত্র জানায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের টেন্ডারকৃত ঠিকাদারি কাজের জামানাতের টাকার চেক পেতে বৃহস্পতিবার বিকালে ছোট ভাই আলী জামসেদ জাহিদকে নিয়ে পৌরসভায় যায় ঠিকাদার আরিফ। এসময় তারা পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পানি তত্ত্বাবধায়ক) হিরণ মিয়া ও যান্ত্রিক শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসানকে গালমন্দ করে। ক্ষিপ্ত হয়ে হিরণ মিয়া ও মাহমুদুল হাসানকে কিল-ঘুষি মেরে আহত করে।
ছবি : ঠিকাদার আরিফ
একপর্যায়ে হামলাকারীরা কম্পিউটার, মনিটর, প্রিন্টার ও আসবাবপত্র ভাংচুর, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নষ্ট সহ ৩ লাখ টাকার ক্ষতি করে। টেবিলে থাকা ২ লাখ টাকার পে-অর্ডার ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র নিয়ে যায়। হইচই শুনে পৌরসভার কর্মরত লোকজন জড়ো হতে থাকলে দুই উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে তাদের ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় হিরণ মিয়া বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন জানান, মামলা দায়েরের পরই পুলিশ রাতেই পৌরসভায় হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় ঠিকাদার আরিফকে গ্রেফতার করেছে। তাকে শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পৌরসভার প্যানেল মেয়র আশ্রাফুল আলম গীটার জানান, পৌরসভার পানি সরবরাহের পাইপ লাইন স্থাপনের জন্য বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় সড়ক কাটতে হয়েছে। ঠিকাদার ওইসব সড়ক সংস্কার করে দেয়ার শর্ত রয়েছে। সেটা না করলে বিল থেকে কর্তন করার কথা। কিন্তু ওই ঠিকাদার সড়ক মেরামতের কাজ না করে বিল নিয়ে যায়। এখন জামানতের টাকার জন্য প্রকৌশলীকে চাপ দিচ্ছে। কিন্তু পৌর মেয়রের নির্দেশ ঠিকাদারের জামানতের টাকা থেকে ওই টাকা কর্তন করে নিতে হবে। মেয়রের নির্দেশ মানতে গিয়ে প্রকৌশলী আক্রান্ত হয়েছে।
এদিকে শুক্রবারই জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানী শেষে বিচারক আলী আশরাফ আরিফের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি