ফেনীর সোনাগাজীতে নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় ১৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেছেন ফেনী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ।
মামলা হওয়ার পর মাত্র ৬১ কর্মদিবসের মধ্যে রায় হয়েছে। দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি সম্পর্কে আইনজীবীরা জানান, এত দ্রুত রায় দেশে এর আগে কোনো মামলায় হয়নি।
আলোচিত এ হত্যা মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাফেজ আহমেদ বলেন, ‘নুসরাত হত্যা মানুষের মনে দাগ কেটেছে। এ কারণে কোনো সাক্ষীই অনুপস্থিত ছিলেন না। আমরা আসামিদের অপরাধ প্রমাণ করতে পেরেছি। রায়ে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তিও হয়েছে।
অ্যাডভোকেট হাফেজ আরো বলেন, সারাবিশ্বে আলোচিত এ মামলার আইনি কার্যক্রম মাত্র ছয় মাস ১৭ দিন চলেছে। যা আদালতের কর্মদিবসের হিসেবে ৬১ দিন। দেশে এত দ্রুত কোনো মামলা নিষ্পত্তির নজির নেই।
২৭ মার্চ নিজ কক্ষে ডেকে নুসরাত জাহান রাফির শ্লীলতাহানি করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা। ওই ঘটনায় মামলা করেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার। পুলিশ অধ্যক্ষকে গ্রেফতারের পর মামলা তুলে নিতে নুসরাত ও তার পরিবারকে প্রতিনয়ত হুমকি দিতে থাকে অধ্যক্ষের সহকারীরা।
মামলা তুলে না নেয়ায় ৬ এপ্রিল মাদরাসার পাশের সাইক্লোন সেন্টারের ছাদে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নুসরাত জাহান রাফির শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পাঁচ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। ওই ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের করা মামলায় ২১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১০ এপ্রিল মামলার তদন্তভার নেয় পিবিআই। ২৯ মে তদন্ত শেষে ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন পিবিআই’র ওসি মো. শাহ আলম। ১৬ আসামির মধ্যে সিরাজ উদ দৌলাসহ ১২ জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
ফেনী ট্রিবিউন/এআর