ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ভাঙ্গার তাকিয়া এলাকায় শুক্রবার বিকেলে একটি যাত্রীবাহি বাস অপর একটি অটোরিক্সাকে চাপা দিলে দুই মহিলাসহ ছয়জন নিহত এবং এক শিশু ও একমহিলাসহ দুইজন আহত হয়েছে। নিহত ও আহতরা সবাই অটোরিক্সার যাত্রী ছিল। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের ১০ হাজার টাকা ও আহতদের ৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ভাঙ্গার তাকিয়া নামক স্থানে হাইওয়ে পুলিশ চেকপোষ্ট স্থাপন করে। এ সময় একটি অটোরিক্সা মহাসড়কের ওই স্থান দিয়ে যাওয়ার সময় হাইওয়ে পুলিশ ধাওয়া করে। এ সময় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাস ওই স্থান দিয়ে যাচ্ছিল। অটোরিক্সাটি পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় বাসের নিচে চাপা পড়ে। এতে অটোরিক্সা দুমড়েমুচড়ে যায়। এ সময় দুই মহিলা ও অটোরিক্সা চালকসহ তিনজন ঘটনাস্থলে নিহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও তিনজন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে- শাহাদাত (২৬), নাসির (২৫), নাসিমা (৪৫), সালমা (১৮) ও দেলোয়ার হোসেন (১৮)। তাদের বাড়ি সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের ১নং স্লুইজগেট এলাকায়। অপর নিহত সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক রুহুল আমিন (৫২) ফেনী পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডের মধুপুরের বাসিন্দা। আহত এক শিশু ও এক মহিলাকে প্রথমে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তাদের দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের নাম জানা যায়নি।
ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) নাজমুল হাসান হাসপাতলের মর্গে ৬টি লাশ রয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, আহত এক শিশু ও এক মহিলার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সম্পাদনা : এএএম/এসকে