ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হোসেন, তার স্ত্রী, চিকিৎসক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র সহ নতুন করে ১৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আজ বুধবার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, করোনায় সংক্রমিত দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হোসেন ও তার স্ত্রী কিছুটা সুস্থ রয়েছেন। তবে দু’জনই শ্বাসকষ্ট নিয়ে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উপজেলায় শনাক্ত হওয়া অপর তিনজনের মধ্যে দুইজন পৌরসভা, একজন ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
এদিকে করোনায় সংক্রমিত হিসেবে নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ফেনী জেনারেল হাসপাতালের একজন চিকিৎসক। একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তার বাড়ি সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নে। এখানে নমুনা দিয়ে শনাক্ত হওয়া দু’জনের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাটে। একজন ছাগলনাইয়া ও অপর ৮ জন সদর উপজেলার বাসিন্দা।
ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান জানিয়েছেন, নির্বাহী কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর শারিরীক অবস্থা উন্নতির পথে। তারা আগের চেয়ে ভালো আছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, গত ১৬ এপ্রিল জেলায় প্রথম এক যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে জেলায় ধারাবাহিকভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়ে চলছে। জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তে সংখ্যা ৬শ ৭১। আজ পর্যন্ত ৪ হাজার ৫শ ৫৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হলে ৩ হাজার ৩শ ৬৯ জনের প্রতিবেদন আসে। হাসপাতালের আইসোলেশনে ১৮ জন চিকিৎসাধীন। অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে ১৭ জন। ৯ জন নতুন সুস্থ সহ এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯৩ জন। মারা গেছেন ১৪ জন।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি