পর্যটনের ভরা মৌসুমে লাখো পর্যটকের উপস্থিতিতে মুখরিত থাকে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। কিন্তু করোনা আতঙ্কে পুরো সৈকতজুড়ে এখন সুনশান নীরবতা।
পুরো কক্সবাজারে নেই পর্যটকের আনাগোনা, ফটোগ্রাফার, বিচ বাইক চালক, জেড স্ক্রী চালক কিংবা হকারদের। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সৈকতের সবকটি পয়েন্টে এই অবস্থা বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে সৈকতে এলাকার সহস্রাধিক বার্মিজ দোকানও।
এর মধ্যে সোমবার সারাদিন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রথমবারের মতো বিরল ডলফিন খেলা করতে দেখা গেছে। সকাল থেকে দল বেঁধে সামুদ্রিক ডলফিন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলি পয়েন্টে খেলা করছে।
সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরাও এক ঝাঁক ডলফিন সাগরে খেলা করতে দেখেছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কলাতলি পয়েন্টে সাগরে আজ (সোমবার) সকাল থেকে এক দল ডলফিন খেলা করতে করতে দেখা গেছে। ১০ থেকে ১২টি ডলফিনের এই দলটি সকাল ৯টা থেকে সাগরে নীল জলে লাফিয়ে লাফিয়ে খেলা করছিলো। কলাতলি সমুদ্র সৈকতের একদম কাছেই ডলফিন গুলো খেলা করতে দেখা গেছে। সমুদ্র পাড় থেকে ডলফিনের খেলা করার দৃশ্য পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিলো।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পর্যটকের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সৈকত ভ্রমণে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করতে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। এদিকে পর্যটক শূন্য সৈকত হয়ে উঠেছে সম্পূর্ণ কোলাহল ও দূষণমুক্ত।
ফেনী ট্রিবিউন/জেএস/এএএম