সোনাগাজীতে বৃষ্টিতে ঘরে চালায় আশ্রয় নেওয়া এক মাদরাসা ছাত্রী (১৫) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে জসিম উদ্দিন (৪০) নামে একজনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
গত রোববার দুপুরে উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের একটি এলাকায় ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার গুণক এলাকা থেকে জসিমকে গ্রেফতার করেছে। তিনি উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের গুণক এলাকার সুলতান আহম্মদের ছেলে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী উপজেলার একটি মাদরাসার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী। ধর্ষক জসিম উদ্দিন একই এলাকার পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা। গত রবিবার সকালে ওই ছাত্রীর মা বেসরকারি একটি এনজিওর কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে পাশের বাড়ীতে যায়। দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে না আসায় ওই ছাত্রী তার মাকে খুঁজতে বের হয়। এসময় পথিমধ্যে বৃষ্টি শুরু হলে ছাত্রীটি পাশের বাড়ির জসিম উদ্দিনের ঘরের চালার নিচে আশ্রয় নেয়। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকায় জসিম উদ্দিন ছাত্রীটিকে টেনে-হেঁচড়ে ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে কিশোরী বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তাঁর মাকে জানায়। তিনি বিচার চেয়ে বিষয়টি জসিম উদ্দিনের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানান। তারা বিষয়টি সমাধান করবেন বলে কাল ক্ষেপন করে ছাত্রীর পরিবারকে থানায় আসতে বাঁধা দেয়।
ছাত্রীর মা জানায়, জসিমের পরিবার ও স্থানীয় এক ইউপি সদস্য তাদেরকে থানায় আসতে বাঁধা দেন। পরে তারা মঙ্গলবার রাতে এক আত্মীয়ের সহায়তায় থানায় এসে মামলা করেন। তিনি ধর্ষক জসিমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।
সোনাগাজী মডেল থানার এসআই মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, গতকাল বুধবার দুপুরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা শেষে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য তাকে বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করা হবে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম ধর্ষণের ঘটনার থানায় মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে জসিম ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হবে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি