সোনাগাজী উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের ভূঁঞা বাজার এলাকায় ডাকাত-পুলিশ গোলাগুলির ঘটনা ধামাচাপা দিতে গায়েবী মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক গাজী হাবিব উল্লাহ মানিক সহ বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাদের আসামী করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এসআই মো: ময়নাল হোসেইন বাদী হয়ে থানায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় গাজী হাবিব উল্লাহ মানিক ছাড়াও আমিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: সোহেল, চরছান্দিয়া ইউনিয়ন যুবদল সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল যুগ্ম-আহবায়ক শামীম হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক শেখ ফরিদ ও মো: জসিমের নাম উল্লেখ করা হয়। আরো ১৪-১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবীতে কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গাজী মানিকের নেতৃত্বে তার সহযোগিরা জনমনে আতংক সৃষ্টি করতে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে হামলাকারিরা তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে।
এদিকে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও বিভিন্ন সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের ভূঁঞা বাজার এলাকায় ১৩/১৪ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত অবস্থান নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপনে সংবাদ পেয়ে পুলিশও ওই এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও হাত বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ ও আত্মরক্ষার্থে ১৬ রাউন্ড পাল্টা গুলি চালায়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় দক্ষিণ চরছান্দিয়া এলাকার বাসিন্দা আজিজুল হক ও মধ্যম চরছান্দিয়া এলাকার বাসিন্দা ইসরাফিলকে গ্রেফতার এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরী এক নলা বন্দুক, দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। আহত ডাকাতদেরকে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এসআই মো. মঈনাল হোসেন, এএসআই আরিফুর রহমান, পুলিশ কনষ্টেবল আবুল খায়ের, বাবুল সরকার, মফিজ উদ্দিন ও আবদুল লতিফকে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সম্পাদনা : এএএম/বিএস