ফেনীতে এক প্রকৌশলীর শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৭ জন। তাদের মধ্যে ২৭ জন সুস্থ হয়েছেন। আর ২’জন মারা গেছেন। সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগার থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে ওই যুবকের করোনা ‘পজিটিভ’ আসে। আক্রান্ত ব্যক্তি একটি পাওয়ার প্লান্টে কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি দাগনভূঞা উপজেলায়। ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে স্বপরিবারে বসবাস করেন।
সূত্র আরো জানায়, ফেনীতে করোনাভাইরাসের বিস্তার বেড়েই চলেছে। গত ১৬ এপ্রিল জেলায় প্রথম এক যুবকের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর দেড় মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ জনে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৩ জন, ছাগলনাইয়ায় ১৩ জন, দাগনভূঞায় ১১ জন, সোনাগাজীতে ৭ জন, পরশুরামে ৬ জন, ফুলগাজীতে ৪ জন। অপর তিনজন পাশ্ববর্তী উপজেলা মিরসরাই্, চৌদ্দগ্রাম ও সেনবাগের ৩ বাসিন্দা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্ত হয়েছেন। একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রেরণ করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার অনুরোধ জানান।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৬৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ১ হাজার ৭৪ জনের প্রতিবেদন আসে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এপি