নভেল করোনা (কেভিট-১৯) ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ফেনীতে হোম কোয়ারেনটাইনে আছেন ৪৮০ জন প্রবাসীসহ পরিবারের ৩২০৪ জন। ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো জানান, গত ২০ ঘন্টায় ফেনীতে ১৪৬ প্রবাসীসহ ৫২১ জন হোম কোয়ারেন্টিনে গিয়েছে। এর মধ্যে ২১ জনকে মৌখিক ছাড়পত্র দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গত কয়েকদিন মিলিয়ে জেলায় মোট ১২৬ জনের কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে। বিমান বন্দরের তথ্যানুযায়ী জেলায় এ র্পযন্ত ৫৩০০ জনের বেশী প্রবাসী বাড়ি ফিরেছেন।
ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন জানান, কোয়ারেন্টিনে থাকা সকলকে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রেখেছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোকদের পর্যবেক্ষন করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মী। এদের কোন তথ্য না থাকায় তাদেরকে হোম কোয়রেন্টাইনের আওতায় আনাসম্ভব হচ্ছেনা। ইমিগ্রেশন থেকে যে তথ্য দেয়া হয়েছে সে ঠিাকান অনুযায়ী তাদেরকেপাওয়া না যাওয়ায় হোমকোয়ারেন্টাইন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এর বাইরে জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় চেয়াম্যান মেম্বারদেরও দায়িত্ব দেয়া হয়েছেদেখা-শুনা করার জন্য। সিভিল পোশাকে পুলিশও কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোকজনকে পর্যবেক্ষন করছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন মানার নির্দেশনাদেয়া হয়েছে। যারা এ নির্দেশনা মানবেনা না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।তবে কোয়ারেন্টিনে থাকা লোকজনেরসামাজিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাদের পরিচয় গোপন করা হয়েছে।
এদিকে জেলায় ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৩০ বেড, ফেনী ট্রমা সেন্টারে ৩০ বেড, সোনাগাজীর মঙ্গলকান্দি ২০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ বেডসহ পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ বেড করে ২৫ বেড মোট ১০৫ বেডের আইসোলেশন কর্নার করাহয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রামন ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখানকার জনপ্রতিনিধি ও সরকারী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রবাস ফেরৎদের হোম কোয়ারেন্টাইন পালনে বাধ্য করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তা প্রচারের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা অব্যাহত আছে। কাউকে আক্রান্ত সন্দেহ হলে সাথে সাথে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত ফেনীতে চিকিৎসার সরঞ্জামাদি ও করোনা সনাক্তের কীট ব্যবস্থা করা যায়নি বলে তিনি স্বীকার করেছেন।
ইতিমধ্যে হোম কোয়ারেন্টিন না মানায় ফুলগাজীতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এক প্রবাসীকে ১০হাজার ও দাগনভূঞাঁতে আরেক প্রবাসীকে ৫ টাকা জরিমানা করেছে বলে জানয়েছেন জেলা প্রশাসন। তবে কোয়ারেন্টিনে থাকা লোকজনের সামাজিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাদের পরিচয় গোপন করা হয়েছে। বলে জানিয়েছেন ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জমান।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এপি