ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ছনুয়া গ্রামে আমীর হোসেন সওদাগর বাড়ীতে দীর্ঘ কয়েক যুগের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়ায় এক পরিবারের চলাচলে ভোগান্তির অভিযোগ উঠছে। অপরপক্ষের দাবী এ জায়গা নিয়ে আদালত তার পক্ষে রায় দিয়েছে তাই সীমানা প্রাচীর তৈরি করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের পশ্চিম ছনুয়া গ্রামের আমীর হোসেন সওদাগর বাড়ীর আমির হোসেনের মালিকীয় জায়গা দিয়ে একই বাড়ীর মফজল হকের পরিবারের সদস্যরা চলাচল করে আসছিলো। তারা একে অপরের চাচাতো-জেঠাতো ভাই। ইতোমধ্যে আমির হোসেন ও মফজল হক মৃত্যুবরণ করলে- আমির হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন তার মালিকীয় জায়গায় সাবেক ৫২২৯ বর্তমান বি.এস ১০৪০২ দাগে ৬৫ শতক আন্দরে ৪৫ শতক যা উত্তর দক্ষিণে প্রস্থে ৪ ফুট পূর্ব পশ্চিমে দৈর্ঘ্যে ৩০ ফুট তদান্দরে ০.২৭৫ শতক নালিশী ভূমি সীমানা প্রাচীর তৈরি করার চেষ্টা করে।
এতে মফজল হকের পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঐ পরিবার এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বিরোধীয় জায়গায় চলাচলের পথ বন্ধ করায় ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আমির হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেনকে বিবাদী করে একটি নালিশী মামলা দায়ের করেন। মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে আমির হোসেন গংদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। এতে সাদ্দাম হোসেন তার পৈতৃক সম্পত্তিতে পাকা ওয়াল তৈরি করে। ফলে বিবাদী মাহবুবুল হক গংদের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। এতে পরিবারটি বয়োবৃদ্ধ অসুস্থ রোগী নিয়ে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে।
জানতে চাইলে মফজল হকের পুত্রবধূ খালেদা আক্তার জানান, তার শাশুড়ী জোহরা বেগম (৮০) কয়েকদিন অসুস্থ রয়েছে চলাচলের পথ বন্ধ করায় তাকে চিকিৎসার জন্য বাড়ী থেকে বের করতে পারছেন না। তিনি আরো জানান, আমার শশুর মফজল হক ও তার চাচাতো ভাই আমির হোসেন জীবিত থাকাকালে দুজনে একে অপরের জায়গা ব্যবহার করতো এবং আমার শশুর তার ব্যবহারের চলাচলের পথের জন্য বাড়ীতে অন্য জায়গায় এক শতাংশ সম্প্রতি মৌখিক ভাবে আমার চাচা শশুর আমির হোসেনকে বুঝিয়ে দেন। সম্প্রতি আমির হোসেনের ছেলে সে শর্ত না মেনে চলাচলের জায়গাটিতে টিন বাঁশ গাছ দিয়ে পথ বন্ধ করে দেয় এবং পাকা ওয়াল নির্মাণ করছে। ২২ জানুয়ারি বুধবার ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ এসে বৃদ্ধ শাশুড়ীকে হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করে। চলাচলের পথ বন্ধ থাকায় আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে আমির হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমাদের জায়গা দিয়ে মফজল হকের পরিবারের সদস্যরা এতোদিন চলাফেরা করেছে। এখন আমরা আমাদের জায়গায় ঘর নির্মাণ করবো। তাদের চলাচলের পথটি আমাদের, আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। আর তাদের চলাচলের পথ দিয়ে তারা মুরগির ফার্ম তৈরি করেছে। তারা সে জায়গা দিয়ে চলাচল না করে আমার জায়গা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
ফেনীর বোগদাদিয়া তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাসান বলেন, খবর পেয়ে বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জায়গা নিয়ে আদালতে দুই পক্ষের মামলা চলমান রয়েছে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি