চলে গেলেন পরোপকারী নিষ্ঠাবান সমাজসেবক মজিবুল হক মিয়া (৬৭)। তিনি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের ওমরাবাদ গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মুন্সি বাড়ির মরহুম ছাইদুল হক মিয়ার বড় ছেলে। ২২ জানুয়ারি রোববার বিকেল পাঁচটায় তিনি ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহে রাজিউন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবত ডায়াবেটিস, হার্ট ও কিডনি সংক্রান্ত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। আজ ২৩ জানুয়ারি সোমবার বেলা ৩টায় মরহুমের বাড়ির দরজায় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
মরহুমের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে জানাজা পূর্ব বক্তব্য রাখেন পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন সোহেল, মোহনা টেলিভিশনের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ও সাপ্তাহিক কলকণ্ঠ সম্পাদক শহিদুল আলম ইমরান, ওমরাবাদ পঞ্চায়েত কমিটির সহ-সভাপতি হাফেজ নাসির উদ্দিন, মরহুমের চাচাতো ভাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক শহীদ উল্লাহ, ওমরাবাদ জামে মসজিদের খতিব মুফতি সালমান, মরহুমের ভাই ও গজারিয়া বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক একরাম, দীপ্ত টিভি ও ডেইলী সানের রিপোর্টার প্রভাষক আবদুল্লাহ আল-মামুন, মরহুমের ছেলে তারেক। জানাজায় ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন ওমরাবাদ জামে মসজিদের সাবেক খতিব হাফেজ আবদুল মান্নান।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে, নাতি নাতনি সহ বহু গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন থেকে ফেরার পর তিনি সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। আমৃত্যু ওমরাবাদ পঞ্চায়েত কমিটি এবং ওমরাবাদ সমাজকল্যাণ সংস্থার উপদেষ্টা ছিলেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মুজিবুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ওমরাবাদ পঞ্চায়েত কমিটি সভাপতি ব্যাংকার শফিকুর রহমান, ওমরাবাদ সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো. নুরুল আফছার ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল-মামুন। এক শোক বার্তায় তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
তারা উল্লেখ করেন, মজিবুল হকের মৃত্যুতে দাগনভূঞাবাসী এক নিষ্ঠাবান, সদালাপী ও পরোপকারী সমাজসেবককে হারালো, তাঁর এই শূন্যতা পূরণ হবার নয়।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি