ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রাম থেকে এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। এঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদ প্রত্যাশী জহির উদ্দিন তুহিনসহ ৫ জনকে আসামী করে মামলা করেছে অপহৃতার ভাই নুর হুদা নাহিদ।
মামলার আসামীরা হল- নাজিম উদ্দিন পিয়াস (২১), মো. আবুল হোসেন (৫৫), আশিক (২৫), সোহেব (২২) ও জহির উদ্দিন তুহিন (২১) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন। দাগনভূঞা থানার মামলা নং ২০। ১৮/০৯/২১ ইং। এ ঘটনায় পুলিশ অদ্যাবধি কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম পাশ্ববর্তী কোম্পানিগঞ্জ উপজেলাধীন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ কামাল মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। স্কুলে ও প্রাইভেটে আসা যাওয়ার পথে ভিকটিমকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের মো. আবুল হোসেন ড্রাইভারে ছেলে নাজিম উদ্দিন পিয়াস (২১) প্রায়ই সময় বিরক্ত করত। পিয়াসের সাথে সঙ্গ দিত মামলার ৪ ও ৫ নং আসামী। এ বিষয়ে পিয়াসের বাবা ২ নং আসামী ও ভাই ৩ নং আসামীর নিকট জানালে তারা আমাদের উপর উল্টো চড়াও হয়। এবং আমার বোনকে গায়েব করার হুমকি প্রদান করেন। এছাড়া ৪ ও ৫ নং আসামীর পরিবারের কাছে জানালে ওই আসামীরা আমাদের বিভিন্ন গালমন্দ ও আমার বোনকে তুলে নিয়ে যাবে মর্মে হুমকি দেয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর শনিবার ভিকটিম তার বাড়ী থেকে প্রাইভেট পড়ার জন্য বের হলে পিয়াস, সোহেব ও তুহিন পথিমধ্যে তার গতিরোধ করে জোরপূর্বক তাকে মুখ চেপে ধরে সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায়। তারা প্রথমে পিয়াসের বাড়ীতে গেলে পিয়াসের বাবা ও ভাই পিয়াস ও ভিকটিমকে তাদের কোন এক আত্মীয়ের বাড়ীতে আত্মগোপনে রেখে আসে। এরপর ভিকটিমের ভাই খবর পেয়ে পিয়াসদের বাড়ীতে গেলে পিয়াসের বাবা তার উপর চড়াও হয় এবং এ ঘটনায় কোন ধরণের থানা পুলিশ করলে তার বোনকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি প্রদান করেন। এ ঘটনায় অপহৃতার পরিবার আতংকে দিনাতিপাত করছে। ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবু নাছের চৌধুরী আসিফ জানান, তুহিন বর্তমানে ছাত্রলীগের পদবীতে নেই।
দাগনভূঞা থানার ওসি (তদন্ত) পার্থ প্রতিম দেব জানান, ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি