ফেনীর ছাগলনাইয়ায় একজন স্বামী পরিত্যক্ত নারীকে জোর পূর্বক ধরে নিয়ে একটি আকাশী বাগানে গণধর্ষনের ঘটনায় চার তরুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলো- ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের উত্তর মন্দিয়া গ্রামের খুরশিদ আলমের ছেলে একরামুল হক পারভেজ (২০), জমির আহম্মদের ছেলে নেজাম উদ্দিন (১৯), সামছুল হকের ছেলে এমরান হোসেন (১৯) ও আবু তাহেরের ছেলে করিম উল্যাহ (২০)।
শনিবার বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল্লাহ খানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে তারা চারজন গণধর্ষনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরে তাদেরকে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ী থেকে বাজারে যাওয়ার সময় ওই স্বামী পরিত্যক্ত নারী গণধর্ষনের শিকার হয়। এ ঘটনায় রাতেই ওই নারী বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ওই নারী গ্রামের বাপের বাড়ী থেকে স্থানীয় বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ওই চার তরুন একরামুল হক পারভেজ, নেজাম উদ্দিন, এমরান হোসেন ও করিম উল্যাহ কথা আছে বলে তাঁর পথরোধ করে। এক পর্যায়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক টেনে হেঁছড়ে সড়কের পাশে একটি আকাশী গাছের বাগানের নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তারা চার তরুন ওই নারীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষন করে। ঘটনাটি কাউকে বললে বা জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে ওই নারী অচেতন হয়ে যায়। এ অবস্থায় তারা তাকে সেখানে রেখেই চলে যায়। কিছুটা সুস্থ্য হলে ওই নারী সেখান থেকে বাড়ী ফিরে যায় এবং এলাকার লোকজনকে বিষয়টি জানায়। এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই নারী নিজে বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, ওই নারীর অভিযোগ পেয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে এলাকা থেকে অভিযুক্ত চার তরুনকে গ্রেপ্তার করেন।
তিনি জানান, শনিবার ওই চার তরুনকে ফেনীর আদালতে পাঠানোর পর তারা চারজনই ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি