আজ

  • শনিবার
  • ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা নমুনার ফল পেতে দেরি: ফেনীতে সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়ছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • ফেনীর সোনাগাজী পৌরসভা এলাকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরিজীবী এক লোকের (৩৫) ১০ জুন থেকে জ্বর, সর্দি, কাশি শুরু হয়। এরপর তিনি বাসায় থেকে মুঠোফোনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করেছেন। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ১২ জুন তিনি করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। নমুনা দেওয়ার ১০ দিনেও পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যায়নি। নমুনার ফল পেতে দেরি হওয়ায় বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি।

    জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা বলেন, নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগারে নমুনা জট ও যন্ত্র মেরামতের কারণে গত ২ দিন কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। এভাবে আরও অনেক মানুষকে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পেতে সময় লাগছে কয়েকদিন। এই বিলম্বের কারণে নমুনা দেওয়া ব্যক্তিরা করোনায় আক্রান্ত কি না, তা দ্রুতসময়ে জানতে পারছেন না। এতে নমুনা দেওয়া ব্যক্তিরা যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মৃদু ও স্বল্প উপসর্গ নিয়ে অনেকে কর্মস্থলে গিয়ে কাজ করছেন। তাদের মাধ্যমে অন্যরা সংক্রমিত হচ্ছেন। ফলে জেলায় প্রতিনিয়ত করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।

    স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, গত ১৬ এপ্রিল জেলায় প্রথম এক যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে জেলায় ধারাবাহিকভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়ে চলছে। জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তে সংখ্যা ৬শ ৫৩ শনিবার পর্যন্ত ৪ হাজার ৪শ ৩৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হলে ৩ হাজার ২শ ৭১ জনের প্রতিবেদন আসে। ফেনী জেনারেল হাসপাতাল থেকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে ১৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ১শ ৩০ জন। করোনায় ১৪ জন মারা গেছেন।

    করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আইসোলেশনে থাকা একাধিক ব্যক্তি মুঠোফোনে বলেন, দ্বিতীয় দফায় নমুনা পরীক্ষার ফল পেতে ধীর গতির কারণে তাঁদের মধ্যে উদ্বেগ- উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। তাঁর পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরাও চরম দুচিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। দ্রুত পরীক্ষার ফল পাওয়া গেলে তাঁরা চিন্তা মুক্ত হতে পারবেন।

    সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উৎপল দাশ জানান, নোয়াখালীর পরীক্ষাগারে নমুনা জট থাকায় গত ২ দিন সোনাগাজীর কোন নমুনা পরীক্ষা হয়নি। এ কারণে গত কয়েকদিন নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যায়নি। সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ মাস্ক পরার জন্য আহবান জানান।

    পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল খালেক মামুন জানান, গত তিনদিন ধরে কোন নমুনার প্রতিবেদন পাননি। তার উপজেলায় ৯০টি রিপোর্ট পরীক্ষার অপেক্ষায় রয়েছে।

    ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি


    error: Content is protected !! please contact me 01718066090