ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার দক্ষিণ করিমপুর এলাকায় লস্কর বাড়িতে একই পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশু সহ ৭ জনকে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করেছে সন্ত্রাসীরা। তারা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন থাকলেও অবস্থা আশংকাজনক বলে স্বজনরা জানান।
ভুক্তভোগী আইউব আলী জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই পরিবারের ৪ নারীকে শারীরিক নির্যাতনের একপর্যায়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে রবিবার দুপুরে তাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা করে বহিরাগত ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী।
সাফিয়া খাতুন জানান, দাগনভূঞা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলাতো দূরের কথা, কোনরকম সহযোগিতা করেননি। কেরানি পরিবার থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তারা রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে। স্থানীয় লাবলু মেম্বারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে একের পর এক হামলা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।
আইউব আলীর পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় লাভলু মেম্বার জড়িত নয় বলে তার দাবী। লাভলু জানান, তিনি তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে বলেছেন।
আইউব আলী ও তার স্ত্রী সাফিয়া খাতুন বলেন, তাদেরকে কেরানির ছেলে-মেয়ে সহ বহিরাগতদের দিয়ে তার পৈতৃক ভিটা-জায়গা জোরজবরদখল করে বাঁধা দিলে আমার পরিবারের ৭ জনকে বর্বরোচিতভাবে রড, লাঠিসোঁটা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে গাছের সাথে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করেছে। আমরা জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষনেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
দাগনভূঞা থানার ওসি হাসান ইমাম জানান, মারামারির ঘটনায় মামলা করতে মেডিকেল কাগজপত্র লাগে। শুধু অভিযোগ নিয়ে আসলেই মামলা রেকর্ড করা যায় না। তাদেরকে বলেছি সাপোর্টিং কাগজপত্র নিয়ে আসলেই মামলা রেকর্ড করা হবে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি