ফেনীর দাগনভূঞায় ট্রাক্টর চালক হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়ের ও হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
দাগনভূঁঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম শিকদার জানান, ট্রাক্টর চালক মো. রাশেদ (২৩) হত্যাকান্ডের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার তাঁর মা মনোয়ারা বেগম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।এতে রাশেদের সহকারী ও লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার দিঘলী গ্রামের হোসেন মিস্ত্রীর ছেলে স্বপন (২৬)ও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিকে আসামী করা হয়েছে।
মামলাটি তদন্ত করবেন ফেনী পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াছিন। রাশেদ নিখোঁজের পর থেকে তাঁর সহকারী স্বপন পলাতক রয়েছেন।নিহত রাশেদ লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার পূর্ব দিঘলী গ্রামের নুর নবী বাবুলের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ট্রাক্টর চালক রাশেদ নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় তাঁর মা মনোয়ারা বেগম ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথমে দাগনভূঁঞা থানায় ও ১৭ সেপ্টেম্বর ফেনীতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশণের(পিবিআই) নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে পিবিআই সদস্যরা দাগনভূঁঞা পৌরসভার বেতুয়া গ্রামের জনৈক মনিরের ঘরের পেছনে একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই লাশটি উদ্ধার করে।
ফেনী পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াছিন জানান, মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আবু তাহের পাটোয়ারী জানান, গত বৃহস্পতিবার অর্ধ গলিত লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। লাশ পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফেনী ট্রিবিউন/ এএএম/এটি/এপি