ফেনীর দাগনভূঞায় ত্রিশ বছর ধরে আইনি লড়াই করে অবশেষে সম্পত্তি বুঝে পেলেন বৈধ মালিক আবদুল হকের পরিবার। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়া ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৫৬ শতাংশ সম্পত্তি বুঝে দেন বৈধ মালিককে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়া বলেন, উপজেলার এনায়েতপুর মৌজার ৫৬ শতাংশ সম্পত্তি নিয়ে ১৯৯০ সাল থেকে গনু বেপারী পরিবার ও হাফেজ আবদুল হক পরিবারের মধ্যে আদালতে মামলা চলে আসছিল। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মহামাণ্য হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৭ সালের হাফেজ আবদুল হক পরিবারের পক্ষে ডিক্রি প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ, সাংবাদিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আবদুল হকের পরিবারের মাঝে সম্পত্তি বুঝে দেয়া হয়। শান্তি শৃঙ্খলা যাতে বিঘ্ন না ঘটে সে বিষয়ে বিরোধী পক্ষকে অবগত করা হয়।
ডিক্রি প্রাপ্ত হাফেজ আবদুল হকের ওয়ারিশ হারুনুর রশীদ জানান, ১৯৯০-১৯৯১ সালে মাঠ জরিপের পর থেকে এ সম্পত্তি নিয়ে প্রতিপক্ষরা সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে আমাদের উপর নানা ভাবে অত্যাচার করে আসছিল। অবশেষে দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে মহামান্য হাইর্কোট বিভাগ আমাদের পক্ষে ডিক্রি প্রদান করেন।
সম্পাদনা : এএএম/এটি