ফেনীর পরশুরামে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. মিজানুর রহমানকে প্রাণনাশ ও চোখ তুলের নেয়ার হুমকি দিয়েছে ফুলগাজী উপজেলার শ্রী চন্দ্রপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন। শিক্ষা অফিসারকে মারতে তেড়েও আসেন ওই প্রধান শিক্ষক। এসময় স্থানীয়দের উপস্থিতিতে শারীরিক আঘাত থেকে রক্ষা পেলেও সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. মিজানুর রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ এবং চোখ তুলে ফেলে প্রাণ নাশের হুমকি দেন ইকবাল হোসেন। এ ঘটনায় শনিবার (২১ মার্চ) পরশুরাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. মিজানুর রহমান।
পরশুরাম থানায় অভিযোগ পত্রে মো. মিজানুর রহমান উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিকাল ৯টার দিকে ইকবাল হোসেন, পরশুরাম উপজেলা শিক্ষা অফিসে এসে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রধান করে। যার ফলে তাকে শিক্ষা অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পরশুরাম তরকারী বাজারে বাজার করতে আসলে একা পেয়ে চোখ উঠিয়ে ফেলাসহ পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি প্রধান করে এবং মারমুখী আচরণ করে। পরে বাজারের উপস্থিত লোকজন তাকে রক্ষা করে।
মো. মিজানুর রহমান বলেন, ইকবাল হোসেনের এমন আচরণে আমি জীবন নিয়ে শঙ্কিত। তিনি আরো বলেন, ইকবাল হোসেন ইতোপূর্বে পশ্চিম সাহেব নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
বিগত বছরের জুন মাসের ১৯ তারিখ ওই স্কুল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের। এ সময় প্রধান শিক্ষক ইকবালকে অনুপস্থিত পেয়ে এবং বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়মের কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ প্রাথমিক শিক্ষা চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালকের বরাবরে প্রেরণ করেন। যার প্রেক্ষিত ওই বছরের নভেম্বরের ২৭ তারিখে তদন্ত হয়। ইকবাল হোসেন তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে এ বছর ফেব্রুয়ারীর ২৭ তারিখ ফুলগাজী উপজেলার শ্রী চন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়।
মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি ওই বছর ফুলগাজী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসারের দায়িত্বে ছিলাম। ইকবাল হোসেন মনে করছেন তার শাস্তিমূলক বদলীর পেছনে আমার ভূমিকা আছে। প্রকৃত পক্ষে এটাতে আমার কোন ভূমিকা নেই এটি বিভাগীয় সিদ্ধান্ত।
পরশুরাম থানার পরিদর্শক (ওসি) শওকত হোসেন অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন তদন্ত সাপেক্ষে থানা থেকে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এপি