চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর তানভীর হত্যাকান্ডের আসামি নেছার ফেনীতে আটক
চট্টগ্রাম মহানগরীর দক্ষিণ কাট্টলি এলাকার চাঞ্চল্যকর আনোয়ার জাহিদ তানভীর হত্যাকান্ডের আসামি নেছার উদ্দিনকে শুক্রবার রাতে ফেনী সদর উপজেলার আফতাব বিবিরহাট এলাকা থেকে আটক করেছে র্যাব।
ফেনীস্থ র্যাবের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মো. নুরুজ্জামান জানান, ১৮ মার্চ রাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানাধীন দক্ষিণ কাট্টলী এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে মো. আনোয়ার জাহিদ তানভীর (৩৫) নিহত হয়। নিহতের ভাই গত ১৯ মার্চ চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানায় ২১ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ চট্টগ্রাম মহানগরীর মো. জনি ও মো. সোহেল নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে। হত্যাকান্ডের পর থেকেই র্যাব এই ঘটনার ছায়া তদন্ত ও পলাতক আসামীদের উপর গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এক পর্যায়ে র্যাব গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে মো. আনোয়ার জাহিদ তানভীর’র হত্যা মামলার ২ নং আসামী মো. নেছার উদ্দীন (৪০) কে ফেনী সদর উপজেলার আফতাব বিবিরহাট এলাকায় অবস্থান করছে। ২০ মার্চ রাতে র্যাব এর একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় মো. নেছার উদ্দীন (৪০), পিতা মৃত ফয়জুর রহমান, গ্রাম কাজীর দিঘী (গনি সওদাগরের বাড়ী) থানা পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম মহানগরীকে আটক করে।
ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে নেছার উদ্দীন স্বীকার করে, ঘটনার দিন আসামীর সাথে ভিকটিমের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মো. নেছার উদ্দীন ভিকটিম মো. আনোয়ার জাহিদ তানভীর’কে পেটে দুই বার ছুরিকাঘাত করে। এ সময় আসামীর সাথে আরো ৫০-৬০ জন লোক ছিল। এরপর আসামী ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায় ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরাটি রাস্তার পাশে ফেলে যায়। পরবর্তীতে আসামী নেছার ফেনী সদর উপজেলার আফতাব বিবিরহাট এলাকায় অবস্থান করে।
নেছার আরও জানায় যে, ঘটনার আনুমানিক ২ মাস পূর্বে লোহারপুল এলাকার জনৈক রুবেলের কাছ থেকে ৩৫০ টাকা দিয়ে ছোরাটি ক্রয় করে ও সেটি সবসময় সাথে বহন করত। নেছার এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানায় আরো দুইটি মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল পিএসসি বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাব যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করবে। দোষী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে। আটককৃতর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এপি
