ফেনীতে বিভিন্ন স্থানে পতিত জমিতে সূর্যমুখী ফসল উৎপাদন করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে স্থানীয় কৃষকরা। ইতিমধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগীতায় ১০ হেক্টর জমিতে সরকারীভাবে আর্থিক প্রণোদনা নিয়ে জেলায় নির্বাচিত জমিতে ৫০টি প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। অন্যান্য ফসলের সাথে এবার স্থানীয়দের চোখ জুড়াচ্ছে বাহারী ও সুদর্শন সূর্যমুখী। সূর্যমুখী ফুল এখন আশপাশে মানুষের মাঝে বিনোদনের ক্ষেত্র হয়েও দাঁড়িয়েছে।
জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল চাষ। ফেনীতে চলতি রবি মৌসূমে সূর্যমুখীর বাণিজ্যিক আবাদ শুরু হয়েছে। রসিক ব্যক্তিরা এক সময়ে বাড়ির আঙ্গিনা অথবা বাগানের সৌন্দয্য বর্ধনে সূর্যমুখী লাগালেও এবার বাণিজ্যিকভাবে ফেনীতে ১০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। সূর্যমুখীর চারা রোপণের ১১৫ দিনের মধ্যে ফসল পাওয়া যায়। সূর্যমুখী ফুলের দানা থেকে ভোজ্যতেল উৎপাদন করা হয়। এক একর জমিতে সূর্যমুখী চাষে খরচ পড়ে প্রায় ১২ হাজার টাকা। একরে সূর্যমুখী উৎপাদন হয় ৩৩-৩৫ মণ।
একমণ সূর্যমুখী ফুলের বীজের বাজার মূল্য প্রায় ১৩-১৪ শ টাকা। একর প্রতি উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কৃষকের প্রায় কমবেশি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভ থাকে। এছাড়াও সূর্যমুখী ফুলের বীজ সংগ্রহ করার পর গাছগুলো জমিতে পঁচিয়ে জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে জমির জৈবসারের ঘাটতি পূরণ হয়। অনেক কৃষক পরিবার তার দৈনন্দিন জীবনে রান্নার কাজের জ্বালানি হিসেবে সূর্যমুখীর খড়ি ব্যবহার করে থাকে। এতে করে জ্বালানি কাঠের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস পাচ্ছে।
ফেনী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, কৃষকরা শিখছেন এ ফসল চাষের পদ্ধতি, সুবিধা। জানিয়ে দেয়া হচ্ছে কিভাবে এ ফসল বাজারজাত করা হবে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এপি