ফেনীতে পুলিশের সাথে শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবকের বাকবিতন্ডার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভাইরালের ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে কৈফিয়ত তলব করেছে ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী। গতরাতে পুলিশ সুপার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক ওমর হায়দার বলেন, তাঁরা হচ্ছে ফেনী মডেল থানার এসআই যশোমন্ত মজুমদারকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে এটি জানি। বাকীরা কে তা আমার জানা নেই। ফেনী ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট দেলোয়ার হোসেন জানান, ট্রাফিক অফিসের এটিএসআই অর্জুন। অন্যজনের নাম জানা যায়নি।
সর্বাত্মক লকডাউন চলাকালে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের মডেল হাই স্কুলের সামনে রবিবার বিকালে পুলিশের সাথে শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবকের বাকবিতন্ডার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে এক যুবককে আটক করতে কয়েকজন পুলিশের ধস্তাধস্তি।
স্থানীয়দের থেকে জানাগেছে, গত কিছুদিন থেকে সে অসংলগ্ন আচরণ করছে। কিছুটা মানষিক ভারসাম্যহীন।
৩ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম মাস্কবিহীন রিক্সাযোগে উকিলপাড়া থেকে ট্রাংক রোডের দিকে যাচ্ছিলেন। মডেল স্কুলের সামনে মডেল থানার দায়িত্বরত এসআই যশোমন্ত মজুমদারসহ পুলিশ সদস্যরা তার রিক্সা গতিরোধ করে। কেন তার গতিরোধ করা হলেও ওই যুবক চিৎকার করে বলতে থাকে- ‘অন্য রিক্সা ছেড়ে দিছস। আমার রিক্সা কেন ধরা হয়েছে।’ একপর্যায়ে তাকে রিক্সা থেকে জোরপূর্বক নামানোর পর ওই যুবক গালমন্দ করতে থাকে। পুলিশ তাকে ‘পাগল’ আখ্যা দিলে কেন পাগল বলা হয় তার কারণ জানতে চায়। তার হাতে হাতকড়া লাগানোর চেষ্টা করলে ৪ পুলিশ সদস্যের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। তখন ওই যুবক বারবার বলতে থাকে- ‘এ দেশ পুলিশের দেশ।’ হাতকড়া লাগাতে না পেরে এক পুলিশ সদস্য তাকে পিচমোড়া ধরে রাস্তায় চেপে ধরলে সড়কের আশপাশে থাকা লোকজন উচ্চস্বরে হইচই করতে থাকে। হাতকড়া লাগানোর পর দাঁড়িয়ে ওই যুবক পুলিশকে কিল-ঘুষি মারতে দেখা যায়।
এবিষয়ে ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী বলেন, লোকটি মানষিক ভারসাম্যহীন। পুলিশ কর্তব্য পালনকালে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পুলিশের উপর ক্ষেপে যায় এবং মারতে আসে। তখন পুলিশ আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছে। তার গায়ে হাত তোলা পুলিশের উদ্দেশ্য নয়।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি