চট্টগ্রামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০টি স্বর্ণবার ডাকাতির ঘটনায় পুুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি সাইফুল ইসলামের বৃহস্পতিবার বিকেলে তৃতীয় দফা ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে রিমান্ড আবেদন করেন। আগামী ২২ আগস্ট রবিবার রিমান্ড শুনানি হবে। ফেনী কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. গোলাম জিলানী সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শাহ আলম ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন। আজ (বৃহস্পতিবার) বিচারক শুনানী না করায় সাইফুল ইসলামকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, ওসি সাইফুলকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আরও ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে আশাকরি বাকী ৫টি স্বর্ণবার উদ্ধার করতে পারবো। তবে এখন পর্যন্ত বাকী ৫টি স্বর্ণবারের ব্যাপারে তথ্য দেয়নি। এর আগে সাইফুল দু’দফা তিনি ৪ দিন করে ৮ দিন রিমান্ডে ছিলেন ওসি। যে ১৫টি স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলো সাইফুলের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট বিকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ফতেহপুর রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছলে ডিবির ওই সদস্যরা তার গাড়ি থামান। ওই সময় তার কাছে থাকা ২০টি স্বর্ণবার নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন। তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। প্রথমে পুলিশ চারজনকে আটক করে। তাদের জবানবন্দি অনুযায়ী আরও দুজনকে আটক করা হয়। ডিবির ওসি সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে ১৫টি বার উদ্ধার করা হয়। এর পর গত ১০ আগস্ট রাতে গোপাল কান্তি দাস তাদের নামে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এদিকে অভিযুক্ত সে ৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) খোন্দকার নুরুন্নবী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওসি সাইফুল ইসলামের চার দিন করে দু’দফা ও বাকিদের তিন দিন করে দু’দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় পরিকল্পনাকারী ফেনীর ডিবি পুলিশের সহযোগী চট্টগ্রামের ছমদুল করিম ভুট্টুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এমপি