১৯৪৪ সালে ফেনী সদরে মোটবী ইউপির লস্করহাট বাজারে প্রতিষ্ঠিত হয় লস্করহাট এসি.সি লাহা ইনস্টিটিউশন। দেশের পূর্বাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠান থেকে শত শত মানুষ আলোকিত হয়ে দেশ-বিদেশে ভাল অবস্থানে রয়েছেন। তবে ভালো নেই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবকরা। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান ও গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।
বিদ্যালয়ে ১২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩৪ ফুট প্রস্থ একটি একাডেমিক ভবন দেখা গেছে। ভবনটি এরই মধ্যে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কোনো ভবন নির্মাণ না করায় পরিত্যক্ত ভবনেই চলছে পাঠদান। ভবনের প্রতিটি কক্ষে রয়েছে পলেস্তারা পড়ার ঝুঁকি। ভবনের পিলারগুলোর ফাটল ও দেয়ালে ফাটল দেখা যাচ্ছে। এছাড়া যেকোন মুর্হূতে পুরো ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অভিভাবক সালাহ উদ্দিন জানান, পরিত্যক্ত ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ হলে ছেলে-মেয়েরা নিরাপদে পাঠগ্রহণ করতে পারতো। পরিত্যক্ত ভবন রেখে নতুন ভবন নির্মাণ হলে পরিবেশ দূষণ হবে। বখাটেরা অপকর্ম করবে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন জানান, ভবনটি ম্যানেজিং কমিটির সভায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সব সমস্যা দূর হবে।
লস্করহাট এসি.সি লাহা ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সামছুন নাহার জানান, সাড়ে চারশত শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেয়ার মতো অবকাঠামো নেই। তাই পাঠদানে বেগ পেতে হচ্ছে। পরিত্যক্ত ভবন ভেঙে নতুন ভবন হলে সমস্যা সমাধান হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থী অনুযায়ী শিক্ষক সংকট রয়েছে। শিক্ষক সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হলে সমাধান হতে পারে।
ফেনী সদর ইউএনও নাসরিন সুলতানা বলেন, বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের বিষয়ে কয়েকদিন আগে উপজেলা সমন্বয় সভায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলোচনা করেছেন। তাৎক্ষণিক উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলীকে ভবন পরিদর্শন করে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলেছি।
সম্পাদনা : এএএম/এমকেএ