আজ

  • বৃহস্পতিবার
  • ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা ইস্যু : ফেনীতে বাড়ি করতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী

  • বিশেষ প্রতিবেদক
  • দেশে মায়ানমারের বাসিন্দাদের আশ্রয়ের পর চলমান রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিপাকে পড়েছেন নাগরিকরা। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ হয়রানীর শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা। ফেনীতে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতে গিয়ে ইব্রাহিম নামে এক প্রবাসীকে নাগরিক সনদ দেয়া নিয়ে তোলপাড় চলছে।

    ভুক্তভোগী সূত্র জানায়, কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবরাং ইউনিয়নের হাজী পাড়া শাহাপরী দ্বীপ এলাকার বাসিন্দা আবদুল কাদেরের ছেলে সৌদি প্রবাসী ইব্রাহিম। সৌদিতে আরেক প্রবাসীর সাথে ব্যবসায়ীক সম্পর্কের সূত্র ধরে সম্প্রতি ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের যাত্রাসিদ্ধি এলাকায় ২ শতাংশ জায়গা কিনেন। জায়গা ক্রয়ের মালিকানা সূত্রে নতুন ঠিকানায় নাগরিক সনদপত্র নিতে কালিদহ ইউনিয়ন পরিষদের দ্বারস্থ হন। সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুর হোসেন কর্তৃক জন্মসনদ (১৯৮৯০০০৫৬৬১৩৭৭৩১৩), প্রত্যয়নপত্র (নং- ১৫৩৫/২৩), ভোটার তালিকা হালনাগাদ যাচাইয়ের প্রতিবেদন (নং- ১৫৩৬/২৩), নাগরিক সনদপত্র (ক্রমিক-১৮৪২), ওয়ারিশ সনদপত্র (ক্রমিক- ১৫২৯/২৩), মা রহিমার জন্মসনদ (নং- ১৯৬০২২১৯০৪৭০৫৩৪৩০, বড় ভাই ইউসুফের জন্মসনদ (নং-১৯৮৭২২১৯০৪৭০৫৩২২২) সহ সবধরনের কাগজপত্র সেখানে উপস্থাপন করেন। এছাড়া তার বাংলাদেশী পাসপোর্টও (নং- বিজে ০২০৩৮০৩, বিএল ০৮৬৭৮৫০) রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে কালিদহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ডালিম তাকে নাগরিক সনদপত্র প্রদান করেন। পরবর্তীতে ইব্রাহিম ফেনী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে আবেদন করেন। তার পাসপোর্টে কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ঠিকানা থাকায় তার আবেদন বাতিল করা হয়।

    একটি সূত্র জানায়, জেলা নির্বাচন অফিসে একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা দেখলে তারা মোটা অংকের টাকা নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ চক্রের সাথে কতিপয় কর্মচারী ও দালাল চক্রের যোগসাজস রয়েছে।

    ইব্রাহিম জানান, দীর্ঘদিন সৌদি আরব থাকার সুবাধে পারভেজের সাথে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক থেকে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এ কারণে তিনি ফেনীতে বসতি গড়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে আগ্রহী হয়। এনিয়ে একটি চক্র তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। নানারকম চল-চাতুরী করে আরো টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ করলে কেনা জায়াগাটিও আগের মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে দেয়। বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হিসেবে সবধরনের সত্যতা থাকলেও দেশে রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে তিনি এ বিপাকে পড়েছেন বলে জানান।

    কালিদহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ডালিম জানান, প্রবাসী ইব্রাহিমের কাগজপত্র ঠিক থাকায় তার ইউনিয়নের নাগরিক সনদ প্রদান করা হয়। বাংলাদেশী পাসপোর্টসহ সকল কাগজপত্র দেখে বুজা যায় তারা রোহিঙ্গা নয়। তবে তারা কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার স্থায়ী বাসিন্ধা। সেই হিসেবে ইব্রাহিম বাংলাদেশী নাগরিক।

    সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার আবদুল মন্নান জানান, ইব্রাহিম আমার গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। তার স্ত্রী সাদিয়া জাতীয় পরিচপয়পত্র পেলেও ইব্রাহিম পাননি। তারা স্বপরিবারে দীর্ঘদিন সৌদি আরবে অবস্থান করেন।

    ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি


    error: Content is protected !! please contact me 01718066090