সোনাগাজী উপজেলার চর মজলিশপুর ইউনিয়নের চর মজলিশপুর গ্রামের নিজ বাড়ির সামনের সড়ক থেকে বুধবার দুপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে (১৭) অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিকালে ছাত্রীর মা বাদি হয়ে মো. শহিদ (২৩), তার বাবা আবু আহম্মদ (৫০), বড় ভাই মো. বাবুসহ (৩০) অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজনকে আসামী করে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, অপহরনের শিকার ছাত্রীটি উপজেলার পাশ্ববর্তী একটি কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষে পড়ত। দীর্ঘদিন ধরে কলেজে আসা-যাওয়ার পথে মো. শহিদ নামের এক বখাটে তাকে প্রতিনিয়ত প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে তার মা- চাচা ও মামাদেরকে জানায়। তাঁরাও বিষয়টি সর্ম্পকে বখাটে শহিদের বাবা ও মাকে অবহিত করে প্রতিকার চেয়েছেন। এতে সে আরও ক্ষিপ্ত ও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এমনকি সে ছাত্রীটিকে বাড়ি ও কলেজের যাওয়ার সময় সড়ক থেকে তুলে নিয়ে অপহরণ করারও হুমকি দেয়। এনিয়ে স্থানীয় ভাবে শালিশী বৈঠক হয়।
কিন্তু বুধবার ছাত্রীটি ঘর থেকে বের হয়ে টয়লেটে যায়। টয়লেট শেষে হাটতে-হাটতে বাড়ির সামনের সড়কে যায়। এসময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে মো. শহিদ তাঁর দুইজন সহযোগীকে নিয়ে ছাত্রীর সামনে এসে দাঁড়িয়ে তাকে ডেকে কাছে নিয়ে গাড়ীতে ওঠতে বলে। ছাত্রীটি গাড়ীতে ওঠতে অস্বীকার করে চিৎকার দিতে চাইলে তাকে টেনে জোরপূর্বক গাড়ীতে তোলে ওষুধ মেশানো একটি গামছা দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে অচেতন করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। চিৎকার শুনে ঘর থেকে তার মা বেরিয়ে এসে তাকে আর দেখতে পাননি।
ছাত্রীর মা জানায়, মেয়েটিকে না পেয়ে তারা অনেক জায়গায় খোঁজাখুজি করেছেন। পরে তারা মেয়েটির সন্ধানে শহীদের বাড়িতে যান। ওই বাড়িতে গেলে শহিদের বড় ভাই বাবু তাদেরকে গালাগাল করে মেয়েটি তাদের বাড়িতে নাই বলে তাড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, মেয়েটি যখন স্কুলে পড়া লেখা করত তখনও শহিদ তার মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করত।
সোনাগাজী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুদ্দিন বলেন, ধারনা করা হচ্ছে মেয়েটি প্রেম গঠিত কারনে শহিদের হাত ধরে পালিয়ে যেতে পারে। তবে অপহরণ নাকি প্রেম গঠিত পুলিশ তার মুল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে।
সম্পাদনা : এএএম/এটি