আজ

  • সোমবার
  • ১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেনী ডায়াবেটিক হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ

  • নিজস্ব প্রতিনিধি
  • ফেনী ডায়াবেটিক হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় বিবি আয়েশা নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনদের অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির আশ্বাস দিলে প্রায় ৪ ঘন্টা পর ওই হাসপাতাল থেকে প্রসূতির মরদেহ নেন তার স্বজনেরা।

    প্রসূতির স্বজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, ফেনী সদর উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের লুদ্ধা বাড়ির আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী বিবি আয়েশা ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ও ফেনী ডায়াবেটিক হাসপাতালের চিকিৎসক নিলুফা ইয়াছমিসনের তত্ত্ব¡াবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিল। পরামর্শ অনুযায়ী অনুযায়ী আয়েশাকে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ফেনী ডায়াবেটিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই দিন মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ডা. নিলুফা ইয়াছমিন প্রসূতির সিজার অপারেশন করেন। সিজার অপারেশনের মাধ্যমে মাত্র ১.৪ কেজি ওজনের একটি পুত্র সন্তান জন্ম হয় আয়েশার। মঙ্গলবার অপারেশনের পর থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রসূতি ও নবজাতকের কোন খোঁজখবর নেননি ডা. নিলুফা ইয়াছমিন। এদিকে বুধবার দুপুর ২টা থেকে প্রসূতি ও নবজাতকের অবস্থার অবনতি হলে ফেনী ডায়াবেটিক হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আফসিনা আক্তারের কোন সহযোগিতা পাননি প্রসূতির স্বজনেরা। কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে বার বার অনুরোধ করার পরও চিকিৎসক তাদের অনুরোধ রাখেননি। সন্ধ্যায় ৬টার দিকে প্রসূতি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ঘটনাটি জানাজানি হলে প্রসূতির স্বজনেরা ও সাংবাদিকেরা হাসপাতালে ভিড় জমান। এসময় রোগীর স্বজনেরা কর্তব্যরত চিকিৎসক ও ডা. নিলুফা ইয়াছমিনের অবহেলার কারণে প্রসূতির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এবং ওই চিকিৎসকদের শাস্তিও দাবি করেন।

    এ ব্যাপারে ফেনী ডায়াবেটিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আশিকুল ইসলাম মহিম জানান, ময়না তদন্তের পর জানা যাবে মৃত্যুর কারণ। তবে ধারণা করা হচ্ছে প্রসূতির প্রেসার বেড়ে যাওয়ায় স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করতে পারে। কর্তব্যরত চিকিৎসকের অবহেলার কথা অস্বীকার করে তিনি আরো বলেন, রোগী ভর্তির সময়ও অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে রোগির স্বজনদের নিজ দায়িত্ব রোগী ভর্তি করা হয়। প্রসূতির মৃত্যুর প্রায় ৪ ঘন্টা পর ঘটনাস্থল যান ডায়াবেটিক হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট আক্রামুজ্জামান ও সাধারন সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল। তারা এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন- এটি একটি নিছক দুর্ঘটনা। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে তার স্বজনদের আশ্বাস দিলে তারা রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রসূতির মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যায়।

    এ ব্যাপারে ডা. নিলুফা ইয়াছমিন জানান, তার প্রাইভেট রোগী হিসেবে তিনি ডায়াবেটিক হাসপাতালে নিয়ে সিজার করা হয়েছে। কার অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে সে ব্যাপারে ডায়াবেটিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সরকারি হাসপাতালে সিজার না করে প্রাইভেট হাসপাতালে সিজার করানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা আমার প্রাইভেট রোগী ছিল।

    সম্পাদনা : এএএম/এটি


    error: Content is protected !! please contact me 01718066090